বছর শেষের দিকে এগোচ্ছে। আনন্দ ফূর্তিও চলছে দেদারে। অনেকে আবার সারা বছরের জমানো টাকা দিয়ে সোনাও কিনে ফেলছেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গে আম জনতার সামনে সোনার অলঙ্কার কেনা নিয়ে এক নয়া উদ্বেগ সামনে এসেছে। সূত্রের খবর সম্প্রতি ভুয়ো সোনার অলঙ্কার সম্পর্কে পুলিশের কাছে বিশেষ খবর আসে। আর পরিস্থিতি এমনই যে সেই আসল সোনা আর নকল সোনার ফারাক কষ্ঠিপাথরেও বোঝা যাচ্ছে না প্রাথমিকভাবে। এনিয়ে পুলিশও আসল সোনা চিহ্নিত করতে সমস্যায় পড়ে যায়। বিশেষত মালদায় সম্প্রতি এই সমস্যা মাথাচাড়া দিয়েছে বলে খবর। কীভাবে সামনে এল ব্যাপারটি?
সূত্রের খবর, আসলে গত বুধবার রাতে মালদা থেকে শেখ সামিম নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার বাড়ি কালিয়াচকের সুজাপুর এলাকায়। এদিকে পুলিশের কাছে খবর ছিল ওই ব্যক্তি চোরাই সোনার কারবার করে। সে সেই সোনা বিক্রির জন্য় এলাকায় নিয়ে এসেছে। এই খবর পেয়েই পুলিশ সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু এই সোনাগুলি আসল কি না সেটা যাচাই করার চেষ্টা করেন পুলিশ কর্মীরা। কিন্তু কষ্ঠিপাথরে সেই সোনা যাচাই করে আসল নকলের ফারাক বোঝা যায়নি।
পরে বড় সোনার প্রতিষ্ঠানে বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনা নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। আর সেখানেই রহস্যের সমাধান হয়েছে কিছুটা। দেখা যাচ্ছে সাধারণ ধাতুর উপর সোনার মোটা প্রলেপ দেওয়া হয়েছিল। যার জেরে ওপর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। আর সেই সোনাকেই আসল বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে এভাবেই সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে ফেলতে পারে প্রতারকরা। এদিকে একাধিক সোনার দোকানে সোনা পরীক্ষা করার আধুনিক মেশিন থাকে না। সেকারণেই কোনটা নকল সোনা আর কোনটা আসল সোনা সেই ফারাক বোঝাটাও মুশকিল।
সূত্রের খবর, কষ্ঠিপাথরেও সেই সোনা যাচাই করে আসল -নকলের ফারাক বোঝা যাচ্ছিল না। এনিয়ে সমস্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। তারপর যে মেশিনে সোনা পরীক্ষা করা হয় সেখানে সোনাটিকে রাখা হয়। কিন্তু সেই টঞ্চ মেশিনেও প্রথমে ব্যাপারটা বোঝা যায়নি। দ্বিতীয়বার ফের তা পরীক্ষা করা হয়। তখনই বোঝা যায় আসলে ওই সোনার মধ্যে খাদের পরিমাণই বেশি। অর্থাৎ মোট সোনার মাত্র ২০ শতাংশ আসল সোনা রয়েছে। বাকিটা ঝুটো সোনা। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। এনিয়ে স্বর্ণশিল্পীরাও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।