রাজ্যের অন্যান্য পুরসভাগুলোতে দ্রুতই পুরভোট করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারইমধ্যে জঙ্গিপুর পুরসভায় ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। জঙ্গিপুর শহরের তৃণমূল সভাপতি ফিরোজ শেখকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পুরসভার প্রশাসক মোজাহারুল ইসলামের লোকজনদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, এলাকার বিধায়ক জাকির হোসেনের সঙ্গে মোজহারুলের দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো। কয়েকদিন আগে পুর প্রশাসকের সঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক জাকির হোসেনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। তারই মাঝে সেখানে আবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।
তৃণমূল সূত্রের খবর, সাত নম্বর ওয়ার্ডে নর্দমা তৈরিকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত। ফিরোজ নর্দমা তৈরীর কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ঠিকাদারের সঙ্গে তার বচসা বাধে। এরপরেই মোজহারুল ইসলামের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিরোজের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড প্রভৃতি দিয়ে তার ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে তাকে দেখতে যান স্থানীয় বিধায়ক জাকির হোসেন। এরপরে জাকির হোসেনের অনুগামীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে এমনকি থানা ঘেরাও করে।
মোজহারুল ইসলাম তৃণমূল হলেও তিনি সিপিএমের হয়ে কাজ করেন বলে অভিযোগ করেছেন জাকির হোসেন। তার অভিযোগ, 'আমার টাউন সভাপতি শুধুমাত্র কাজ কেমন হচ্ছে তা দেখতে গেছিলেন, আর তাতেই তাকে বেধড়ক মারধর করা হল। পুর প্রশাসক সিপিএমের হয়ে কাজ করে।' একই সঙ্গে তার হুঁশিয়ারি, 'মুখ্যমন্ত্রীর কর্মীর গায়ে কেউ হাত দিলে হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে।'
যদিও এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন মোজাহারুল। তিনি বলেন, 'তৃণমূল সভাপতিকে মারধর করা হয়েছে কিনা বলতে পারবোনা। তবে এখানে সকলেই তৃণমূল। তৃনমূল ছাড়া আর কে আছে?'
এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত করছে পুলিশ । পাশাপাশি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।