সকাল থেকে একেবারে কাঠফাটা রোদ্দুর। বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বলে কথা। সরকারের নানা পরিষেবা নিয়ে গ্রামের দুয়ারে আসছে সরকারি দফতর। হুগলির গোঘাটের ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হওয়ার কথা ছিল। এদিকে বলরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সকাল থেকেই সাধারণ মানুষের ভিড়। একে একে ভিড় বাড়তে থাকে এলাকায়। সরকারি নানা পরিষেবা পাওয়ার জন্য তাঁরা ওই ক্যাম্পে যান। কিন্তু যাঁরা পরিষেবা দেবেন তাঁরা কোথায় গেলেন?
বাসিন্দাদের দাবি দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বাসিন্দারা কড়া রোদ মাথায় নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু ক্যাম্পে কেউ ছিলেন না। বার বার তাঁরা এনিয়ে খোঁজ নেন। কিন্তু সরকারি কর্মী আধিকারিকদের খোঁজ নেই।
এদিকে এনিয়ে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে থাকে। কতক্ষণ আর এভাবে দাঁড়ানো যায়। উত্তর দেওয়ার মতোও সেভাবে কাউকে পাওয়া যায়নি। অগত্যা একে একে গ্রামের মানুষ ফিরে যেতে শুরু করেন।
এদিকে বাসিন্দাদের দাবি, ওই ক্যাম্পে কেবলমাত্র একজন আশা কর্মী ছিলেন। আর কেউ ছিলেন না। এদিকে ক্যাম্পে একাধিক পরিষেবা দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই পরিষেবা দেবেন যারা সেই সরকারি কর্মীরা কোথায় গেলেন?
এদিকে বাসিন্দাদের দাবি, অফিসে গেলে সরকারি কর্মীদের একাংশের দেখা মেলে না। বহু চেষ্টা করেও তাঁদের দেখা পাওয়া যায় না। সেখানেও সময়ে আসেন না তাঁরা। অগত্যা অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হলে সেখানে হয়তো সরকারি কর্মীরা থাকবেন। কিন্তু এখানেও সেই হতাশার ছবি।
এদিকে এদিন সংবাদমাধ্যমে এই হতাশার ছবি সামনে আসতেই প্রশাসনের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়। এরপরই স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা কয়েকজন সরকারি কর্মীকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। এরপর দুয়ারে সরকার ক্যাম্প কোনওভাবে চালু হয়। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে যাওয়ার পরেও কেন এলেন না সরকারি কর্মীরা?
কেন এভাবে হয়রানির মধ্য়ে পড়তে হল সাধারণ মানুষকে? তবে ব্লক প্রশাসন ক্যাম্পে কিছুটা দেরি হওয়ার কথা কার্যত মেনে নিয়েছে। তবে দ্রুত সমস্যা মেটানো হয়েছে বলে ব্লক প্রশাসনের দাবি। কিন্তু সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?