বার বার মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করেছেন অবৈধ বালির কারবার প্রসঙ্গে। সম্প্রতি জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াও এনিয়ে সরব হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও অবৈধ বালি কারবারে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এনিয়ে তৃণমূল বার বার অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি শাসকদলকে। এবার ফোনের কথোপকথনের একটি অডিও ঘুরছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। আর তানিয়েই শোরগোল শাসকদলের অন্দরে। তবে এই ফোনালাপের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
এদিকে দলের একাংশের মতে, মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডের এক তৃণমূল নেতার গলাও শোনা গিয়েছে ওই অডিওতে। অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এমভিআই সেজে হানা দিতে যাচ্ছে বলেও অডিওতে শোনা যাচ্ছে বলেও দাবি করছে বিভিন্ন মহল। তবে গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। বাসিন্দাদের একাংশের মতে, শাসকদলের একাংশের সঙ্গে বালি মাফিয়াদের তলায় তলায় যোগাযোগ রয়েছে। সেটাই কার্যত উঠে এসেছে এই কথোপকথনের প্রসঙ্গে।
গোটা ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তরজা তুঙ্গে উঠেছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি অবৈধ কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি দলের এক বুথ সভাপতিকে এই ধরণের অভিযোগের জেরে বরখাস্তও করা হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, ‘দল কোনও অন্য়ায় কাজকে প্রশয় দেয় না। দেবেও না।’ বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ‘শাসকদলের প্রশয়েই এই অবৈধ কারবার ফুলে ফেঁপে উঠছে।’