বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্ত্রীর সেই আগের রূপে কিছুটা ঘাটতি হতে শুরু করে বলে অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। আর সেই অভিযোগ তুলেই শুরু হয় বধূর উপর অকথ্য অত্যাচার। তার মুখে অ্যাসিড জাতীয় তরল ঢেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানায় বড়ুয়া পঞ্চায়েতের নলডাঙি গ্রামের ঘটনা।মহিলা থানায় এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই নির্যাতিতা বধূর শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিলীপ বর্মন নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। ৭ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল।বর্তমানে তাঁদের তিন সন্তানও রয়েছে। এদিকে বিয়ের কয়েক বছরের মধ্য়ে ওই মহিলার শরীর স্বাস্থ্য কিছুটা ভেঙে যায়। আর তাতেই নানা রকম গঞ্জনা শুনতে হত ওই বধূকে। এরপরই শুরু হয় মধ্যযুগীয় অত্যাচার।
ওই বধূকে মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। এমনকী মুখে অ্যাসিড জাতীয় তরলও ঢেলে দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। তবে অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে পুলিশ।
শ্বশুর বাবুলাল বর্মনকে আটক করা হয়েছে। বধূর স্বামী বর্তমান গা ঢাকা দিয়েছে। নির্যাতিতার ভাই বলেন, দিদিকে অ্যাসিডের মতো কিছু দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। খুব অত্যাচার করা হয় দিদিকে। আগে দেখতে ভালোই ছিল। এখন দেখতে খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে মারধর করে। বড়ুয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আসিমুদ্দিন সরকার বলেন, কী একটা তেল ব্যবহার করে ওর মুখ কালো হয়ে গিয়েছে। অ্যাসিডের ব্যাপারে জানি না।
প্রসঙ্গত এনসিআরবি রিপোর্ট অনুসারেও সম্প্রতি দেখা গিয়েছে ২০২১ সালে বধূ নির্যাতনে শীর্ষে বাংলা।