এপ্রিলে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার প্রকল্পে বড় সাফল্য পেল রাজ্য সরকার। চার প্রকল্পে আব প্রায় ১০০ শতাংশ পরিষেবা দেওয়া হয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যেই। নবান্ন থেকে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ খবর জানানো হয়েছে।
এই চার প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে, 'ঐক্যশ্রী', 'সামাজিক সুরক্ষা যোজনা', 'কন্যাশ্রী' ও 'স্বাস্থসাথী'। এই মধ্যে শীর্ষে রয়েছে 'ঐক্যশ্রী'। চলতি দুয়ারে সরকারে এই প্রকল্প আবেদন জমা পড়েছিল ২,৫৯,৩৯৫টি। এর মধ্যে সবগুলি আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। অর্থাৎ পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সাফল্যের হার ১০০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সামজিক সুরক্ষা যোজনা ও কন্যাশ্রী প্রকল্প। দু'টি ক্ষেত্রে সাফল্যের হার ৯৯শতাংশ। সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় ১৬,৪৫,৬৮৭টি আবদেন জমা পড়েছিল। অনুমোদিত হয়েছে ১৬,৩১,১০৯টি। কন্যাশ্রী প্রকল্পেও ১,৫৯, ২৬৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে ১,৫৮,৩০৬ জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পেও আবেদনকারীদের ৯৫ শতাংশই অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ ৪,৫২,০৭১টি আবেদনের মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে ৪,৩১,৩৩১টি।
তুলনামূলক ভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মোট আবেদনের ৯০ শতাংশ গ্রাহ্য হয়েছে। অর্থাৎ এই প্রকল্পের ১১,০৩,৫৮০ টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৯,৯৪,১০৯টি আবেদন গ্রাহ্য হয়েছে। বাকি আবেদন অনুমোদনের কাজ আরও দ্রুতার সঙ্গে করতে বলা হয়েছে নবান্ন থেকে।
সামনের মাসের মাঝামাঝি রাজ্য পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে এটাই শেষ দুয়ারে সরকার। তাই নবান্ন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে প্রকল্পগুলির টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ে, সেগুলির আবেদন দ্রুত অনুমোদন করতে। তাতে অনেকটা সফল হয়েছেন আধিকারিকরা।
নবান্ন সূত্রে খবর, ভাল পরিষেবা প্রদানে এগিয়ে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ৯৩ শতাংশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৯২ শতাংশ, নদিয়া ৯১ শতাংশ, মুর্শিদাবাদ ৯০ শতাংশ ও উত্তর ২৪ পরগনা ৮৫ শতাংশ।
২৬ এপ্রিল নবান্ন একটি বৈঠকে করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে সমস্ত দফতরের মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে কথা বলেন। তারই প্রস্তুতি হিসাবে মুখ্যসচিব একটি বৈঠক করেন নবান্নে। সূত্রের খবর, যে সব প্রকল্প সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে সেগুলির অধিকাংশের টাকা ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকা ২৬ এপ্রিলের বৈঠকে অনুষ্ঠানিক ভাবে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে বৈঠকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন, সমস্ত প্রকল্পের তথ্য হাতের কাছে রাখতে হবে। প্রকল্প নির্বারিত সময়ের মধ্যে শেষ হলে সেই তথ্য আপলোড করে সমন্বয় পোর্টালে।