অবশেষে বাড়ি ফিরলেন রাজস্থানের কোটায় আটকে থাকা পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়ারা। কোটায় মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকার প্রস্তুতি নিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর উদ্যোগে ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় শুক্রবার সকালে ১,৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। আসানসোল, কলকাতা ও শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছয় বাসগুলি। এর পর পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তাঁদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে রাজ্য প্রশাসন। ভিনরাজ্য থেকে ফেরা পড়ুয়াদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
শুক্রবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঝাড়খণ্ড থেকে একে একে আসানসোলে ঢোকা শুরু করে পড়ুয়াদের বাসগুলি। মোট ১,৫৩২ জনের সেখানে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। সেখান থেকে কিছু পড়ুয়াকে পাঠানো হয় বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার বিভিন্ন জায়গায়। এর পর ৩৪টি বাস পৌঁছয় দুর্গাপুরে। সেগুলি থেকে পড়ুয়াদের নিয়ে জেলায় জেলায় পৌঁছে দেয় রাজ্য সরকারের বাস।
ওদিকে বিহার থেকে শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে ঢোকে পড়ুয়াবোঝাই আরও কিছু বাস। সেখানে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়। এর পর তারা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকারের বাসে যাত্রা শুরু করেন।
পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, কোটায় নিরাপত্তার কোনও অভাব হয়নি তাঁদের। তবে খাবারের মান দিন দিন পড়ছিল। সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যের পড়ুয়ারা ফিরে যাওয়ায় নিঃসঙ্গ বোধ করছিলেন তাঁরা।
বলে রাখি, কোটায় আটকে পড়া পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের ফেরাতে প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন বহরমপুরের সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। সেজন্য রাজ্যস্থানের কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। যদিও তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রায় ৩০০০ পড়ুয়াকে কোনও অবস্থাতেই ফেরানো সম্ভব নয়। এর পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোটার পড়ুয়াদের ফেরাবে সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের ফেরানোর জন্য ১০১টি বাসের বন্দবস্তো করে রাজস্থান সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বাসভাড়া দিয়ে দেবে তারা।