সোমবারের তাণ্ডবের পর মঙ্গলবার সকালে থমথমে ভাঙড়ের শোনপুর বাজার। এদিনও রাস্তায় যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল বড় বড় ইটের টুকরো। পোড়া মোটরসাইকেলগুলি সরানো হলেও রাস্তার ওপর স্পষ্ট হিংসার ছাপ। ওদিকে এদিন সকালে শোনপুর বাজারে কিছু দোকান খুললেও দোকানি ও ক্রেতা, দুপক্ষই ছিল আতঙ্কে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এদিনও এলাকায় মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারের ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার পুলিশ সঙ্গে ISF সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়ের শোনপুর বাজার। সোমবার কলকাতার রামলীলা ময়দানে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ISFএর সভায় যোগদান করতে আসছিলেন ভাঙড় ও লাগোয়া এলাকার দলীয় কর্মীরা। পথে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। এর পর ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি ভাঙড়ের শোনপুর বাজারে সভা হবে বলে জানান। নওসাদের নির্দেশে শোনপুর বাজারে জমায়েত করতে থাকেন ISF সমর্থকরা। বিধায়ক সেখানে পৌঁছনোর কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আন্দোলনকারীরা। পুলিশের গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর শুরু করে তারা। পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যান ভাঙচুর চালিয়ে উলটে দেওয়া হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি। এমনকী পুলিশকর্মীদের ওপরও বেলাগাম হামলা হয়। পেরেক পোঁতা বাঁশ দিয়ে পুলিশকর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় পৌঁছয়। ততক্ষণে এলাকা ছেড়েছে হামলাকারীরা।
সোমবারের ঘটনার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে থমথমে শোনপুর বাজার। হাতে গোনা কয়েকটি দোকান খুলেছে বাজারে। রাস্তার ওপর তখনও ছড়িয়ে আধলা। তারই মধ্যে কিছু মানুষ বাজার করতে এসেছিলেন। তাঁদের একজন জানান, ‘ভয় তো করছে। কিন্তু কী করব? বাজার করতেই হবে। নইলে খাব কী?’ এক দোকানি জানান, ‘পুলিশের তরফে বেলা ১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে বলা হয়েছে। ততক্ষণ খোলা রাখব। তার পর বন্ধ করে বাড়ি চলে যাব। ভীষণ ভয় করছে।’