মাত্র ৭০০ টাকা চাইতে এসে শুরু হয় বচসা। সেখান থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে মারধর শুরু হয়ে যায়। সেই সময় বাড়ির কলের পাড়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় একজনের। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে চলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। এই ঘটনায় একজন মহিলাকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে আচমকাই শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত শিতলাপাড়া এলাকায় রঞ্জিত বর্মনের বাড়িতে টাকা চাইতে আসে দুই ভাই সুজিত ও শ্যামল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সুজিত ও শ্যামলের দুই বউ। ৭০০ টাকা চাইতে এসেছিলেন তাঁরা। রঞ্জিতবাবু জানান, ৭০০ টাকা পুরোপুরি দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এখন ৫০০ টাকা দিতে পারেন। এরপরই রঞ্জিতবাবু ও তাঁর স্ত্রী শান্তি বর্মন বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। উভয় পক্ষের মধ্যে বচসার জেরে আচমকাই কল পাড়ে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন শান্তি বর্মন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরই এলাকার বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ভাঙচুর শুরু করে দেন তাঁরা। মৃত শান্তি বর্মনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
এই ঘটনার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর দুই ভাই গা ঢাকা দিয়েছেন জানা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আশেপাশের এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ বেরিয়ে আসে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের যাতে কোনও উত্তেজনা ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য তৎপর পুলিশ।