ভোটে জিতে তৃণমূল ক্ষমতায় আসতেই, দলত্যাগীদের দলে ফেরার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। এবার পদ্ম শিবিরে যোগদানের দেড় মাসের মাথায় মোহভঙ্গ হল সদ্য বিজেপিতে যোগদান করা নেতার। তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানালেন ইটাহারের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা অমল আচার্য। শনিবারই তিনি তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন। যদিও তাঁর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে কিছুই জানেন না বলে পালটা দাবি করেছেন উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘ এই বিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্যই নেই।’ এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে।
বিজেপি নেতা অমলের দাবি, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনে যেভাবে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও দুই বিধায়ককে হেনস্থা করছে সিবিআই, তারই প্রতিবাদে তিনি বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দিতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। যদিও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে, বিজেপিতে হালে পানি না পেয়েই ফের তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন অমল আচার্য।
উল্লেখ্য, দলের প্রার্থী না হতে পারার ক্ষোভ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থীকে হারানোর উদ্দেশ্যে ভোটের ১৫ দিন আগেই বিজেপিতে যোগ দেন ইটাহারের প্রাক্তন বিধায়ক অমল আচার্য। গত ৭ এপ্রিল ইটাহারের চৌরাস্তা মোড়ে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ও বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা তুলে নেন শুভেন্দুর অনুগামী হিসাবে পরিচিত অমল। বিজেপিতে যোগ দিতেই তিনি হুঁঙ্কার ছাড়েন, ইটাহারের তৃণমূল প্রার্থী মুশারফ হোসেনকে কয়েক হাজার ভোটে হারাবেন। কিন্তু ভোটের ফল বেরনোর পর দেখা যায়, ওই কেন্দ্রে ৪৫ হাজার ভোটে জিতেছেন মোশারফ। ঘটনার পরেই বিজেপিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েন অমল। তার পর থেকেই গেরুয়া রাজনীতির অন্তরালে চলে যান অমল। বিজেপিতে যোগদানের দেড়মাসের মাথায় মোহভঙ্গ হল তাঁর।