বৃষ্টির অপ্রতুলতার কারণে এ বছর প্রায় তিন লক্ষ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করা সম্ভব হয়নি। কৃষি দফতর সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় ওই সমস্ত জমির বিকল্প চাষের পাশাপাশি রবি শস্য চাষের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি আধিকারিকরা। সেই কথা মাথায় রেখেই কৃষি দফতরের তরফে চাষীদের সর্ষে ও ডাল শস্য বীজ দেওয়া শুরু করেছে কৃষি দফতর।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত শ্রাবণ মাসের মধ্যেই খারিফের আমন ও আউশ ধান রোপন করা হয়ে যায়। তবে এ বছর বৃষ্টির অভাব এবং সেচের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, গতবছর রাজ্যে ৪২ লক্ষ করে জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছিল এবার ৩৯ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান রোপন সম্ভব হয়েছে। তাই বাকি জমিতে রবি শস্য চাষের জন্য ১০ কোটি টাকার বীজ সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আমনের বীজতলা তৈরি করা হলেও বৃষ্টির অভাবে অনেক জায়গাতেই তা ভালো হয়নি। গবাদি পশুকেই আমনের চারা গরুকে খাওয়াতে দেখা গিয়েছে নদিয়ার তেহট্টে। এই অবস্থায় ফসল বীমারও আওতায় কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন বলেও জানানো হয়েছে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কৃষকরা এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। যে জেলাগুলিতে আমন ধান রোপন কম হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ জেলা। পুরুলিয়া জেলায় ৬৯ শতাংশ জমিতে আমন ধান রোয়া সম্ভব হয়েছে। বাঁকুড়ায় ৭৮ শতাংশ জমিতে সম্ভব হয়েছে। বীরভূমে ৪০ শতাংশ এবং মুর্শিদাবাদে ৭০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করা হয়নি বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখানে ডাল শস্য বা সর্ষে রোপণের পরামর্শ দিচ্ছেন আধিকারিকরা।