শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন না অমর্ত্য সেন। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর একটি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দুর্নীতির বৃহত্তর আঙ্গিক নিয়ে মন্তব্য করলেন তিনি। এড়িয়ে গেলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ।
এদিন অমর্ত্য সেনকে প্রশ্ন করা হয়, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিচারপতি নোবেলজয়ীদের মত জানতে চেয়েছেন। এব্যাপারে আপনি কী বলবেন? জাববে অমর্ত্য সেন প্রথমে প্রশ্নটিই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বলেন, ‘বিচারপতি যা বলেছেন তার মধ্যে দোষের কিছু দেখি না। উনি যারা নোবেল পেয়েছেন তারা কী বলেন জানতে চান। আমি নোবেল পাওয়াটাকে প্রচণ্ড বড় কিছু বলে মনে করি না। কিন্তু যারা নোবেল পেয়েছেন তাদেরও তো একটা মত থাকবে। যেমন মাস্টারদের মত থাকবে, গাইয়েদের মত থাকবে, লেখকের মত থাকবে। নোবেল যারা পেয়েছেন তাঁদেরও মত থাকতে পারে। তাঁরা কী মনে করেন সেব্যাপারে বিচারপতি একটা আগ্রহ জানিয়েছেন যে আমি জানতে চাই। এর মধ্যে কিছু দোষ আমি দেখি না’।
এর পর ফের তাঁর কাছে সুনির্দিষ্টভাবে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। তখন অধ্যাপক সেন কার্যত নিজের অসহায়তা স্বীকার করে নেন। বলেন, ‘দুর্নীতি খারাপ, সুনীতি ভালো, এই বলে যদি খালাস পেতাম তাহলে তাই আমি বলতাম’। তার পর তিনি বলেন, ‘এটা তো এত সহজ জিনিস নয়। দেশে দুর্নীতি কেন হয়, এবং সেটা কী করে বন্ধ করা যেতে পারে সেই নিয়ে আমাদের চিন্তার অবকাশ আছে। এটা আমাদের মানা দরকার। দুর্নীতি থেকে আমাদের একটা পতন শুরু হয়। তাহলে আমাদের ভাবতে হবে আমরা কী করতে পারি। এই ধরণের কথাগুলো হয়তো মামুলি শোনাবে। কিন্তু মামুলি বক্তব্য অনেক সময় কার্যকরী হতে পারে এবং তার একটা মূল্যবোধও আমাদের মধ্যে থাকতে পারে’।
বলে রাখি, নিয়োগ দুর্নীতির শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই দুর্নীতি নিয়ে নোবেলজয়ীরা কী ভাবেন জানতে ইচ্ছা করে। এব্যাপারে আগেই প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেছেন আরেক নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।