বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > পিছিয়ে গেল অমর্ত্য সেনের জমি মামলার শুনানি, কবে আবার শুনবে আদালত?

পিছিয়ে গেল অমর্ত্য সেনের জমি মামলার শুনানি, কবে আবার শুনবে আদালত?

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। (ছবি, মিন্ট)

বীরভূমের জেলা জজ আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন আবহে জমির শুনানিও পিছিয়ে গেল। এই জমি দখলের কথা উঠতেই সেখানে নেতা–কর্মীদের পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মাসের শেষে দেখা যাবে কোন দিকে জল গড়ায়।

বিশ্বভারতী বনাম অমর্ত্য সেনের জমি বিবাদের শুনানি পিছিয়ে গেল সিউড়ি আদালতে। সুতরাং জমি কার?‌ সেটার এখনও ফয়সালা হল না। আজ, বুধবার সিউড়ি জেলা আদালতে বিচারক স্বয়ং অনুপস্থিত ছিলেন। আর ভারপ্রাপ্ত বিচারকের এজলাসে শুনানি হোক তাতে রাজি ছিলেন না নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তাই তাঁর আপত্তিকে মেনে নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আর তার পরই মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। ‘প্রতীচী’র ওই জমি কার?‌ তা নিয়ে পরবর্তী মামলার শুনানি হবে আগামী ৩০ মে। ফলে অপেক্ষা করতে হবে চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত।

কেন পিছিয়ে গেল মামলা?‌ আজ সিউড়ি জেলা আদালতে বিচারক সুদেষ্ণা দে চট্টোপাধ্যায় অনুপস্থিত ছিলেন। দুপুর ২টোয় শুনানির কথা ছিল। কিন্তু এখন প্রকৃতির কারণে আদালত সকালে চলছে। তাই কলকাতা থেকে আইনজীবী বা বিচারকরা সঠিক সময়ে হাজির হতে পারেননি। সেশন জজ অনুপস্থিত থাকায় ভারপ্রাপ্ত চতুর্থ জেলা জজ স্মরজিৎ মজুমদারের এজলাসে অমর্ত্য সেনের জমি মামলার শুনানি হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেটা সকাল ৯টায়। তাতে রাজি ছিলেন না অমর্ত্য সেনের আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায়চৌধুরী। আর অর্মত্য সেনের আইনজীবীর আপত্তি মেনে নেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তার জেরে মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ এদিকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আপত্তি করে বেশ কিছু নথি বুধবার বিচারকের সামনে পেশ করা হয়। তারপর দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক স্মরজিৎ মজুমদার আগামী ৩০ মে এই মামলায় পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন। বহুদিন ধরেই জমি নিয়ে অমর্ত্য সেন বনাম বিশ্বভারতীর মধ্যে অশান্তি চলছে। তা থেকেই আদালতের দুয়ারে যায় দু’‌পক্ষ। কারণ বিশ্বভারতী জোর করে উচ্ছেদ করিয়ে জমি দখল নেওয়ার নোটিশ পাঠিয়েছিল অমর্ত্য সেনকে। এমনকী ৬ মে জমি খালি করার কথা পর্যন্ত বলা হয়েছিল।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ অন্যদিকে ওই জমি অমর্ত্য সেনের বাবার নামে রয়েছে বলে দাবি করে আসছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। আর বিশ্বভারতীর দাবি ওই জমি তাঁদের। বীরভূমের জেলা জজ আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন আবহে জমির শুনানিও পিছিয়ে গেল। তবে এই জমি দখলের কথা উঠতেই সেখানে নেতা–কর্মীদের পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে উত্তেজনার পারদ চড়ে যায়। তবে এখন মাসের শেষে দেখা যাবে কোন দিকে জল গড়ায়।

বন্ধ করুন