বাংলদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে ভারতের তরফ থেকে বারংবার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এবার সেই বিষয়ে নিন্দা জানালেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। বিগত দিনে বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। অনেকে খুন হয়েছেন। বহু হিন্দুর বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে, দোকান লুট করা হয়েছে। মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে ইউনুসের সরকার বলে চলেছে, কোনও হামলা সাম্প্রদায়িক নয়। এই আবহে এবার মুখ খুললেন অমর্ত্য সেন। বার্তাসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন বললেন, 'বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং মন্দিরগুলিতে ভাঙচুর ও হিা প্রতিরোধ করা সরকার ও সাধারণ জনগণের দায়িত্ব ছিল।'
আরও পড়ুন: 'বন্ধু' ইউনুসকে বড় বার্তা, বাংলাদেশ নিয়ে 'উদ্বিগ্ন' অমর্ত্য সেন বললেন...
ইউনুসকে নিয়ে অমর্ত্য সেন বলেন, 'ইউনুস আমার অনেক পুরনো একজন বন্ধু। তাঁর সামর্থ্য রয়েছে। আমি জানি। বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন এর আগেও। ইউনুসের ওপর আমার আস্থা রয়েছে। এখন কেউ যদি হঠাৎ করে কোনও এক দেশের প্রধান হয়ে যান, তাহলে তাঁকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করতে হবে। সেখানে বিভিন্ন ইসলাপন্থী দল রয়েছে, হিন্দুদেরও বিভিন্ন পক্ষ রয়েছে।' অমর্ত্য সেনের কথায়, 'অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ করা জরুরি।' তিনি বলেন, 'আমি চাই বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা অব্যাহত থাকুক।' উল্লেখ্য, ঢাকায় শৈশব কাটানো অমর্ত্য সেনের স্কুলশিক্ষা শুরু হয়েছিল সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে। পরে তিনি শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করেছিলেন। নিজের 'আদি বাড়ির' বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই উদ্বেগ প্রকাশ অমর্ত্য সেনের।
উল্লেখ্য, বিগত দিনে বাংলাদেশে ক্রমেই বেড়েছে মৌলবাদ। সংস্কারের নামে গদি আঁকড়ে বসে আছেন মহম্মদ ইউনুস। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে চলেছে। এই আবহে রমজানের সময় বাংলাদেশের আম জনতার পকেটে আগুন। বাংলাদেশের অর্থনীতির হাল সেই অর্থে ফেরাতে পারেননি নোবেলজয়ী ইউনুস। এই সবের মাঝেই সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকেই। ইউনুস মুখে শান্তি ফেরানোর কথা বললেও তা প্রতিষ্ঠা করতে কার্যত ব্যর্থ। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক হিংসার পাশাপাশি খুন, জখম, রাহাজানি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েই চলেছে। সঙ্গে অনেক নারী নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। যার প্রতিবাদে বাংলাদেশের স্কুল ছাত্রীরা পর্যন্ত সরব হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার উজ-জামানও সরকারের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন। এদিকে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ায় বিএনপিও তোপ দাগতে শুরু করেছে ইউনুসের সরকারের দিকে।