দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালির অন্তর্গত চকমানিক গ্রাম। সেখানকার বাসিন্দা ছিলেন অভিজিৎ রায়। রবিবার বিকালে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কোনওরকমে অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করেন তাঁর মা। এরপর বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকরাও তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই মৃতদেহ নিয়ে আসার ব্যাপারে মোটা টাকা দাবি করে অ্যাম্বুল্যান্স চালক। অভিযোগ এমনটাই। ভাড়া নিয়ে মতানৈক্যও হয় দুপক্ষের মধ্যে। এরপর অভিযোগ, মাঝপথেই দেহ ফেলে চম্পট দেয় ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক। অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েন মৃতের পরিজনরা। ছেলের দেহ বাড়িতে ফেরানোর জন্য কান্নাকাটি শুরু করেন মৃতের মা। বিষয়টি জানাজানি হতেই বজবজ ২নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় শববাহী গাড়িতে দেহ তোলা হয়। তিনি বলেন, ওই চালক অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।
এদিকে গোটা ঘটনায় ফের করোনা পরিস্থিতিতে পরিজনদের অসহায়তার বিষয়টি সামনে এসেছে। কেন অ্য়াম্বুল্যান্সের এই জুলুমবাজির নিয়ন্ত্রণে সরকার রাশ টানছে না সেই প্রশ্নও উঠছে। বার বারই নানা অনিয়ম সামনে আসছে। এনিয়ে নানা চর্চাও উঠছে।কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে অ্যাম্বুল্যান্স চালক মানবিকতার পরিচয় দিলেও বহু ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত টাকা দাবি সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা।