কুড়ি লিটারের জলের ব্যারেল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়! ইউরোপ - আমেরিকার কোনও বর্ধিষ্ণু দেশ নয়, এই ছবি হাওড়ার। যে শহরে অবস্থিত রাজ্যের প্রধান সচিবালয় ‘নবান্ন’। অভিযোগ, হাওড়া শহরের একাংশে পুরসভার জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কালোবাজারি। ঘটনার কথা স্বীকার করে প্রশাসনকে পদক্ষেপের অনুরোধ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক।
আরও পড়ুন - ‘দিলীপ ঘোষকে যেভাবে উত্যক্ত করা হয়েছে...!’ দলের তরফে পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু
আরও পড়ুন - হুইপ জারির পরও সকলে উপস্থিত নন, কারা অনুপস্থিত? তালিকা তৈরি করছে তৃণমূল
আরও পড়ুন - স্ত্রীকে বেদম মারছিল মদ্যপ স্বামী, বাঁচাতে গেলে শ্যালকের কান কামড়াল জামাইবাবু
বৃহস্পতিবার বেলগাছিয়া ভাগাড়ের কাছে পাইপ ফেটে যাওয়ায় হাওড়া শহরের উত্তরদিকের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শহরের প্রায় ২০টি ওয়ার্ডে শনিবার রাত পর্যন্ত জল পৌঁছয়নি। রবিবারও হাওড়ার অনেক জায়গায় জল বন্ধ। আর এই পরিস্থিতিতে চড়চড়িয়ে বেড়েছে পানীয় জলের চাহিদা। মানুষ পানীয় জলের জন্য ব্যারেল, বোতল নিয়ে লাইন দিচ্ছেন RO প্ল্যান্টগুলিতে। অভিযোগ, সেখানে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চলছে কালোবাজারি। ২০ লিটারের ব্যারেল ভরতে সেখানে দিতে হচ্ছে ৩০০ টাকা। যা অন্য সময় খরচ হয় ৩০ টাকা।
ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, এই এলাকায় তিন চারটে প্ল্যান্ট এরকম করছে শুনলাম। এসব একদম বরদাস্ত করব না। ২০ লিটার জলের দাম ৩০ টাকা। আর ২ তলার বেশি ওপরে পৌঁছে দিলে বাড়তি ১০ টাকা নিতে পারেন। তার বেশি ১ পয়সা নিয়ে পুলিশকে বলব পদক্ষেপ করতে। যারা এসব করবে তাদের পরে ব্যবস্থা হবে।
আর এসবের মধ্যে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একে জলের অভাবে স্নান খাওয়া বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছে, তার ওপরে জল কিনতে গিয়ে ফতুর হওয়ার দশা তাদের। তবে শনিবার রাতে শিবপুরসহ কিছু জায়গায় জল এসেছে। বাকি জায়গায় সোমবারের মধ্যে জল আসবে বলে জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে।