বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি চিঠি সামনে এসেছে। সেটা রাজ্যবাসীর ভালোর জন্য বলে দাবি করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, প্রথম পর্যায়ে করোনা যোদ্ধা এবং পরে রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে করোনাভাইরাস টিকা দেওয়া হবে। চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই বিরোধিতায় এবার সরব হল বিজেপি। কেন্দ্র টিকা দিলেও মুখ্যমন্ত্রী আদতে মিথ্যে ঘোষণা করে চলেছেন বলেই টুইটে দাবি বাংলায় বিজেপি’র সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালবিয়া। আর এই ভ্যাকসিন নিয়েই এখন তুঙ্গে রাজনীতি।
এখনও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুরোপুরি বাগে আসেনি। বরং বিপদের আশঙ্কাকে সঙ্গী করেই বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে হচ্ছে সকলকে। এই পরিস্থিতিতে কবে টিকা আসবে, তা নিয়ে বিস্তর ভাবনাচিন্তা চলছিল। তবে জানা গিয়েছে, প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে আগামী ১৬ জানুয়ারি। ওইদিনই দেশজুড়ে শুরু হবে করোনার টিকাকরণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সোমবার বৈঠকও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীদের। তার আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করোনা যোদ্ধাদের চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, প্রথমে প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে এবং পরে রাজ্যের প্রত্যেকের জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে। সেই চিঠি পৌঁছে জেলায় এবং স্বাস্থ্য দফতরেও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই চিঠির আশ্বাসকে হাতিয়ার করেই আসরে নেমেছে বিরোধী বিজেপি। সেই চিঠি তাদের হাতেও পৌঁছে গিয়েছে। আর চিঠিকে ইনসেট করে টুইটে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন বাংলায় বিজেপি’র সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালবিয়া। তিনি টুইটে লেখেন, ‘রাজ্য সরকার প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদের বিনামূল্যে টিকাকরণের বন্দোবস্ত করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে। তৃণমূল কর্মী–সমর্থকরা বিভিন্ন প্রান্তে পোস্টার টাঙানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাতে লেখা রয়েছে, রাজ্যবাসীর জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণের বন্দোবস্ত করেছেন দিদি। নির্লজ্জতার কোনও সীমা নেই।’
এই আক্রমণ করার পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারই বিনামূল্যে প্রথমসারির কোভিড যোদ্ধাদের জন্য টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছে বলেও টুইটে দাবি করেছেন বিজেপি’র আইটি সেলের নেতা। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কার্যত ব্যর্থ বলে বারবার দাবি করেছে বিরোধীরা। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে একাধিকবার সুর চড়িয়েছেন তাঁরা। এবার টিকাকরণ নিয়েও শুরু শাসক–বিরোধী তরজা শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।