বাঙালির আবেগকে উস্কে দিয়ে শুরু করেছিলেন। আর দু'দিনের বঙ্গ সফর শেষ করলেন চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক মেজাজে। স্পষ্টতই বোঝা গেল, শুভেন্দু অধিকারী গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ায় বিজেপির মনোবল একলাফে বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গে আরও জোর বাড়িয়েছে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গড় বোলপুরের রোড-শো। সেই আত্মবিশ্বাসে সওয়ার হয়ে জানিয়ে দিলেন, আগামী বছর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি।
অমিত শাহের বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনের আপডেট :
>> অমিত শাহ : সংবিধান মেনেই তিন আইপিএস অফিসারের ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ম না মেনে কথা বলছেন।
>> অমিত শাহ : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের নিয়ম এখনও তৈরি হয়নি। করোনার কারণে এত বড় কর্মসূচি পিছিয়ে গিয়েছে। করোনার টিকা লাগানো শুরু হলে সেটার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে।
>> অমিত শাহ : আগামিদিনে আমরা বাংলার ভূমিপুত্রকে মুখ্যমন্ত্রী করব। রাষ্ট্রীয় দলের তকমা হারিয়ে সম্ভবত আপনার স্মৃতিভ্রম হয়ে গিয়েছে, দিদি।
>> একযোগে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামেদের আক্রমণ শানালেন শাহ। অভিযোগ করলেন, স্বাধীনতার পর দেশের সবদিকে এগিয়ে ছিল বাংলা। এখন সবদিক থেকে পিছিয়ে গিয়েছে। আর্থিক দুরাবস্থার জন্য দায়ী দুই সরকার। একমাত্র দুর্নীতি, রাজনৈতিক খুনে বাংলা শীর্ষে আছে।
>> সাংবাদিক বৈঠক করছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার অহঙ্কারে নড্ডার কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছে।’ তিনি জানান, তৃণমূল সরকারকে গণতান্ত্রিকভাবে ভোটে পরাজিত করবে বিজেপি।
>> বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের রোখার জন্য এই পরিবর্তন হবে, বোলপুরে ঘোষণা শাহের
>> অমিত শাহ : বিজেপিকে সুযোগ দিন। পাঁচ বছরের মধ্যে সোনার বাংলা গড়বে বিজেপি।
>> অমিত শাহ : বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে আমি অনেক জায়গায় রোড শো দেখেছি। অনেক রোড শো'র আয়োজন করেছি। কিন্তু কোথাও এরকম ভিড় দেখিনি। এটা বাংলায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত। মমতাদিদি বুঝতে পারবেন যে এবার পদ্মফুল ফুটবে।
>> অমিত শাহ : লাখ লাখ মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। এটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে বিজেপি।
>> আগামী বছর ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব পড়বে, তা বোঝা কঠিন। কিন্তু রবিবার অনুব্রতের গড়ে যেভাবে ভিড় হয়েছে, তাতে আশা বাড়বে বিজেপির।
>> অমিত শাহের রেড শো শুরু ছিল। মাত্র ১.৫ কিলোমিটার রাস্তা। সেজন্য দু'ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হয়েছে।
>> ডাকবাংলো মাঠে পৌঁছালেন অমিত শাহ।
>> গান্ধীজি ও নেতাজি দু’জনেরই অনুপ্রেরণা ছিলেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: অমিত শাহ
>> মধ্যাহ্নভোজ সেরে রোড শো'র জন্য রওনা দিলেন শাহ।
>> মধ্যাহ্নভোজ সারছেন অমিত শাহ। বীরভূমের বিশেষ চালের ভাত, রুটি, পটল, পোস্তর বড়া, পায়েসের মতো পদ আছে।
>> পারুলডাঙা গ্রামে মধ্যাহ্ণভোজ সারতে গেলেন শাহ। গান শুনছেন তিনি। গান বাজছে - ‘আমি হৃদমাঝারে রাখব।’
>> বাংলাদেশ ভবন থেকে বেরিয়ে শাহ বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি। আমি পড়েছিলাম যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকে সম্মান জানিয়েছে নোবেল কমিটি। কিন্তু আমার মতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল কমিটিকে ধন্য করেছিলেন। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের অনুপ্রেরণা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।’
>> বাংলাদেশ ভবনে পৌঁছালেন শাহ।
>> সংগীত ভবনে অমিত শাহ। মজেছেন বিশেষ অনুষ্ঠানে। শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
>> বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছালেন অমিত শাহ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। উপাসনা গৃহ ঘুরে দেখলেন। যান উত্তরায়নে।
>> বোলপুরে পৌঁছালেন অমিত শাহ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলিপ্যাডে নামল তাঁর হেলিকপ্টার।
>> কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিল শাহের কনভয়। কিছুটা দেরিতে রওনা দিলেন শাহ।
>> কুয়াশার কারণে কিছুটা দেরি হল শাহের উড়ান। সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে হেলিকপ্টার ওড়ার কথা ছিল। তা কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে।
>> সূত্রের খবর, শনিবার রাতে মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে বৈঠক করেন শাহ। পরে শুভেন্দু চলে গেলেও বৈঠক চলতে থাকে। রবিবার সকালে প্রাতঃরাশের পর আরও এক দফায় বৈঠ করেন। মূলত রবিবারের রাজনৈতিক কার্যক্রম কী হবে, বিধানসভা ভোটের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।
>> রবিবার সকালে নিউ টাউনের পাঁচতারা হোটেল থেকে রওনা দেবেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে বোলপুরে যাবেন। সকাল ১০ টা ৫০ মিনিট নাগাদ সেই কপ্টার নামবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলিপ্যাডে। তারপর গাড়িতে চেপে ১১ টার মধ্যে বিশ্বভারতীতে পৌঁছাবেন শাহ। সেখানে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত কাটিয়ে ১২ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ বাংলাদেশ ভবনে যাবেন। তারপর শান্তিনিকেতনের সুভাষপল্লিতে বাউল শিল্পী বাসুদেব দাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন। তারপর ডাকবাংলা মাঠ থেকে শুরু করবেন রোড শো। বোলপুর চৌরাস্তায় বিকেল চারটে পর্যন্ত রোড-শো চলবে। পরে একটি বেসরকারি রিসর্টে যাবেন। সেখানে সাংবাদিক বৈঠকের পর বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিটে অণ্ডাল বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখান থেকে রাত আটটার বিমান আছে তাঁর।