এবার আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেট্রাপোলে আসার সম্ভাবনা তৈরি হল দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। আগামী বুধবার আসতে পারেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সীমান্ত পরিদর্শন, নতুন চেকপোস্ট এবং পেট্রাপোল থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যেই বিএসএফকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ইডির চার্জশিটে সরাসরি বিএসএফ–কে কাঠগড়ায় তুলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাদের একাংশের সহযোগিতায় গরুপাচার সম্ভব হয়েছে বলে মনে করে ইডি। গরুপাচার মামলা নিয়ে এখন জোর তৎপরতা চলছে। তার মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সম্ভাবনাময় সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে।
এদিকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উদযাপনে ৯ মে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি এবং সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামেরা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। তবে এবারের সফরে মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি বাতিল করেছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। কারণ রবীন্দ্রজয়ন্তীতে মানুষ রাজনৈতিক বক্তব্য শুনতে যাবেন না। আর তাই সেই জনসভা ফ্লপ কর্মসূচিতে পরিণত হবে। আর তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওইদিন জনসভা করবেন না। যেহেতু জনসভা হচ্ছে না তাই তার পরিবর্তে বনগাঁ সফর নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে শাহের নিরাপত্তায় যাবতীয় ব্যবস্থা চূড়ান্ত করে রাখছে প্রশাসন।
অন্যদিকে এনআরসি কার্যকর করা নিয়ে বিজেপি লাগাতার প্রতিশ্রুতি বিলি করে চলেছে। মতুয়া গড় বনগাঁ এসে কখনও অমিত শাহ, আবার কখনও খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি বিলি করেছেন। যার বিরোধিতা করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। তবে বিজেপির রাজ্য নেতারাও পিছিয়ে নেই। তাঁরাও সমানতালে বলে চলেছে এনআরসি, সিএএ হবেই। বছর ঘুরলেই আবার লোকসভা নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবে শাহের বনগাঁ সফরকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব।
ঠিক কী বলছে বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেস? ইতিমধ্যেই জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে তাঁর আসার কথা আছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। তাই এখানে অভিষেক আসার আগেই আসতে চলেছেন শাহ বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে বনগাঁ বিজেপির সংগঠনিক জেলা সভাপতি রমাপদ দাস বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন সরকারি কর্মসূচিতে। সিএএ বা এনআরসি চালু হবেই। তৃণমূল আদালতে মামলা করে এটা হতে দিচ্ছে না।’ অমিত শাহের বনগাঁ সফরকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘ভোট এলেই বিজেপি প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রতিশ্রুতি শুনে শুনে মতুয়ারা বিভ্রান্ত। আমাদের দাবি, নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে।’