বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Fake Doctor: ডিগ্রি ছাড়াই চুটিয়ে ডাক্তারি, বর্ধমান-রায়গঞ্জে চেম্বার,পর্দাফাঁস

Fake Doctor: ডিগ্রি ছাড়াই চুটিয়ে ডাক্তারি, বর্ধমান-রায়গঞ্জে চেম্বার,পর্দাফাঁস

রায়গঞ্জে ভুয়ো চিকিৎসকের অভিযোগ। সংগৃহীত ছবি

সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নাম গোলাম মোস্তাফা। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকে তিনি ডাক্তারি করতেন। গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে রীতিমতো ডাক্তারি। পসারও কিছু কম ছিল না। এককথায় মুন্নাভাই এমবিবিএস। কিন্তু হাটে হাড়ি ভাঙার উদ্যোগ নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।

একেবারে ধোপদুরস্ত চেহারা। উত্তরদিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরে দীর্ঘদিন ধরেই তিনিই প্র্য়াকটিস করছেন। তিনি নাকি পেটের রোগ বিশেষজ্ঞ। তবে অভিযোগ, আসলে তিনি ভুয়ো চিকিৎসক। তিনি রেজিস্ট্রেশন নম্বর না থাকা সত্ত্বেও রীতিমতো ডাক্তারি করতেন। একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। একাধিক পলি ক্লিনিকেও তিনি চুটিয়ে ডাক্তারি করতেন। এদিকে ধরা পড়তেই স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের, একেবারে হাতে পায়ে ধরছেন তিনি। ঘটনাটা ঠিক কী?

সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নাম গোলাম মোস্তাফা। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকে তিনি ডাক্তারি করতেন। গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে রীতিমতো ডাক্তারি। পসারও কিছু কম ছিল না। কিন্তু হাটে হাড়ি ভেঙে দিল স্বাস্থ্য দফতর।

এদিকে সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তারপরই গোটা ঘটনাটি সামনে আসে। সেখানে দেখা যায় ধরা পড়েই কয়েকজনের হাতে পায়ে ধরছেন তিনি। এখন প্রশ্ন উঠছে দিনের পর দিন ধরে তিনি এভাবে রায়গঞ্জ শহরে ডাক্তারি করলেন, অথচ স্বাস্থ্য দফতরের এত দেরিতে ঘুম ভাঙল? 

রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি ল্যাবের কর্ণধার সঞ্চিতা চৌধুরী জানিয়েছেন, বছর দুয়েক ধরে তিনি ল্যাবে চিকিৎসা করতেন। কিন্তু তিনি যে ভুয়ো এটা তার জানা ছিল না। এজন্য তিনি অনুতপ্ত। কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ঈশ্বর রজক জানিয়েছেন, ডাক্তারের কঠোর শাস্তি হবে। কালিয়াগঞ্জের কত বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তা জেনে খুব উদ্বিগ্ন। আইএমএ সদস্য ডাঃ দীপ সরকার বলেন, এই ধরনের ঘটনা হওয়া উচিত নয়। প্রশাসনকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। যে কেউ এসে চেম্বারে বসে যাচ্ছেন। ডাক্তার সমাজটাকে তিনি অপমান করেছেন। গ্য়াসট্রোএন্ট্রোলজির ডাক্তার বলে তিনি মানুষকে ভুল বুঝিয়েছেন। 

স্থানীয় এক বাসিন্দা বাবুল বসাক বলেন, সাধারণ মানুষের কিছু করার নেই। আমাদের পক্ষে তো রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরীক্ষা করে দেখাটা তো সম্ভব নয়। ভুয়ো চিকিৎসক কি না সেটা তো প্রশাসনের দেখা দরকার।

এদিকে ভুয়ো শিক্ষক নিয়ে গোটা বাংলা জুড়ে নানা চর্চা। এবার তার মধ্যেই সামনে এল ভুয়ো চিকিৎসকের অভিযোগ। তবে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পরেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে আপাতত তার বোর্ড তুলে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ শুধু রায়গঞ্জে নয়. বর্ধমান, বীরভূমেও নাকি তার চেম্বার রয়েছে। তবে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তার খোঁজ শুরু হয়েছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন