আবার হাতির হামলার মুখে পড়ল গ্রামবাসী। শীতে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে এসেছিল হাতি। আর এই হাতির আক্রমণের জেরে এবার প্রাণ গেল এক পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রের। এই ঘটনায় জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অতর্কিতে হামলা চালানোর জেরে প্রাণ গেল ছাত্রের। গোটা গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এমনকী বারবার গ্রামে গজরাজের হামলায় ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা।
ঠিক কী ঘটেছে ঝাড়গ্রামে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রামের কলাইকুন্ডা রেঞ্জের খুগমরাই বনকাটি এলাকায় হাতি হামলা চালায়। তখন গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে হামলার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তখন সেখানে গ্রামবাসীদের মধ্যে থেকে ছিটকে যায় এই ছাত্র। আর হাতি তাকে পেয়ে আছড়ে মেরে ফেলে। মৃত ছাত্রের নাম হীরক মাহাতো। তাঁর বাড়ি সাঁকরাইল থানার খুদমরাই গ্রাম পঞ্চয়েতের আতাডিহা গ্রামে। সেখানে এখন শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ঝাড়গ্রামের কলাইকুন্ডা রেঞ্জের খুগমরাই বনকাটি এলাকায় একটি হাতি জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে আসে। সেখানেই খাবার তেমন কিছু না পেয়ে হামলা চালাতে শুরু করে। তখন গ্রামবাসীরা হাতি তাড়াতে লাঠি–বাঁশ নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে যায়। না হলে চাষের ফসল নষ্ট করে দেবে হাতি। কিন্তু তাতে ঘটনা ঘটে উল্টো। হাতিটি আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তখন গ্রামবাসীরা পালিয়ে গেলে আটকে পড়ে হীরক। আর তখনই তাকে আছড়ে মেরে ফেলে হাতিটি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরেই ঝাড়গ্রামের নানা প্রান্তে হাতির হামলা হয়। তারপরও বন দফতরের কোনও উদ্যোগ না থাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে গ্রামবাসীদের। একদিকে ফসল নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে প্রাণও যাচ্ছে। নয়াগ্রাম ব্লকের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে সাঁকরাইল ব্লকে প্রবেশ করছে হাতি। এই ব্লকের আন্ধারী, রোহিনী অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে হামলা চালায় হাতিরা। চাষিরা মাঠ থেকে পাকা ধান তোলার জন্য অপেক্ষা করছেন। তখন হাতির দল ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি করছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।