গজলডোবা এলাকায় একটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জের মান্তাদারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তিস্তার চরে সবজি ক্ষেতের পাশ থেকে হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আর এই হাতির দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রবিবার হাতির দেহের পাশ থেকে রাসায়নিক সারের একটি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। তাই বিষক্রিয়ায় হাতির প্রাণহানি হয়েছে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। তবে হাতির দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে এখানে? স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার এক ব্যক্তি দেখতে পান একটি হাতি পড়ে রয়েছে। প্রাণহীন এই হাতিটি দেখে তিনি বনদফতরে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের এডিএফও মঞ্জুলা তিরকে এবং বেলাকোবার রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত। হাতির দেহের পাশ থেকে রাসায়নিক উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। যদিও এই নিয়ে সবাই মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে গ্রামের মানুষজন সেখানে ভিড় জমান। কে বা কারা এই কাজ করেছে? তা জানতে তৎপর হয়েছে বন দফতর। অনেক সময় জমির ফসল হাতির হাত থেকে বাঁচাতে বিদ্যুৎবাহী তার দিয়ে ঘিরে রাখা হয় ক্ষেত বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রেও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল বলেই অনেকের অভিযোগ। তাই তা খেয়ে মারা যায় হাতিটি।
তাহলে কী হাতির মৃত্যু রাসায়নিকেই? এই বিষয়ে এডিএফও মঞ্জুলা তিরকে বলেন, ‘হাতির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। কিভাবে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। এই রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়।’ তবে এই ঘটনা নিযে তদন্তে নেমেছে বন দফতর।