জঙ্গলের হাতি মাঝেমধ্যেই লোকালয়ে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু তা বলে একেবারে বিমানবন্দরের রানওয়েতে! বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে সেই কাণ্ডই ঘটেছে। রবিবার রাতে ভয়াবহ ঘটনা হল বাগডোগরা বিমানবন্দরে। বাগডোগরা-কলকাতা ফ্লাইট প্রায় আড়াই ঘণ্টা আগে উড়ে গিয়েছে। শীতের রাত। আচমকাই রানওয়েতে দেখা মিল দাঁতালের।
এদিকে রানওয়েতে হাতিকে দেখেই তৎপর হয়ে যান বিমানবন্দরের আধিকারিকরা। দ্রুত বনদফতরে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে টিম চলে আসে। এরপর রাতে শুরু হয়ে হাতি তাড়ানোর পালা।
এদিকে সূত্রের খবর, হাতিটি রানওয়েতে কিছুক্ষণ থাকার পরে সেটি বায়ুসেনার বেস ক্যাম্পের দিকে চলে যায়। এতে বায়ুসেনার কর্মী আধিকারিকদের মধ্যেও তৎপরতা শুরু হয়ে যায়।
এদিকে হাতিটি যে কোনও সময়ে কোনও বিমানের ক্ষতি করতে পারত। আর বিমানের উপর হাতির হামলা মানে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। সেখানে যেভাবে হাতিটি বিমানবন্দরে ঘুরছিল সেই আশঙ্কাও পুরোমাত্রায় ছিল।
এদিকে বায়ুসেনাও অত্যন্ত তৎপর হয়ে ওঠে। বনদফতরও ঘুুমপাড়ানি গুলি দিয়ে হাতিটিকে জব্দ করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটাও লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। এরপর শুরু হয় পটকা ফাটানোর কাজ। কারণ হাতিটিকে বের করার আর বিশেষ কোনও পথ ছিল না। কারণ হাতি তো আর গরু নয় যে লাঠি দিয়ে তাড়ালেই ল্যাজ তুলে ছুটবে। রাত ৯টার কিছুটা পরে হাতিটিকে রানওয়েতে দেখা গিয়েছিল। এরপর রাত ১২টা নাগাদ পটকা ফাটানোর শব্দে হাতিটি কিছুটা পিছু হঠতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত সেটি বিমানবন্দরের দক্ষিণ দিকে গেট দিয়ে জঙ্গলের দিকে চলে যায়।
তবে স্থানীয়দের মতে. বাগডোগরার পাশে ব্যাঙডুবিতে হাতি মাঝেমাধ্য়েই আসে। তবে এবার একেবারে রানওয়েতে চলে এল। যে কোনও সময় ভয়াবহ ঘটনা হতে পারত।
এদিকে সম্প্রতি জঙ্গলে রিলস বানাতে গিয়ে হাতির মুখে পড়েছিল এক ছাত্র।
জঙ্গলের ভেতর সেই ছাত্র আচমকাই হাতির সামনে পড়ে যায়। আর সেই সময় হাতিটি তুলে আছাড় মারে ওই ছাত্রকে। মা পা দিয়ে পিষ্ট করে দেয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছে তার দুই বন্ধু। কেশিয়াড়ি থানার খাজরা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিগেড়িয়ার জঙ্গলে এই ঘটনা হয়। মৃত পড়ুয়ার নাম দেবপ্রিয় মাহাতো। ১৪ বছর বয়সি ওই ছাত্র বড়পারুয়া জুনিয়র হাইস্কুলের ছাত্র। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত সে।
আর এবার হাতি এল রানওয়েতে। জোর শোরগোল।