রিলস বানাতে গিয়ে কত ঘটনা ঘটছে আজকাল। এবার রিলস বানাতে গিয়ে একেবারে হাতির মুখোমুখি হল এক ছাত্র। জঙ্গলের ভেতর সেই ছাত্র আচমকাই হাতির সামনে পড়ে যায়। আর সেই সময় হাতিটি তুলে আছাড় মারে ওই ছাত্রকে। মা পা দিয়ে পিষ্ট করে দেয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছে তার দুই বন্ধু। শনিবার বিকালে কেশিয়াড়ি থানার খাজরা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিগেড়িয়ার জঙ্গলে এই ঘটনা হয়। মৃত পড়ুয়ার নাম দেবপ্রিয় মাহাতো। ১৪ বছর বয়সি ওই ছাত্র বড়পারুয়া জুনিয়র হাইস্কুলের ছাত্র। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত সে।
কীভাবে এই ঘটনা হল?
স্কুল থেকে ফিরে সেদিন সে জঙ্গলে হাতি দেখতে গিয়েছিল। বন্ধুর সঙ্গেই সে গিয়েছিল। এদিকে হাতিগেড়িয়ার ওই জঙ্গল তার বাড়ি থেকে প্রায় ৪ কিমি দূরে।
সূত্রের খবর, হাতি দেখার আশায় তারা জঙ্গলের মধ্যে চলে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে তিনজন ছিল। সাইকেলে চেপে তারা জঙ্গলের কাছে গিয়েছিল বলে খবর। আর সেই জঙ্গলের মধ্য়ে তারা রিলসও বানাচ্ছিল। সেই সময় আচমকাই হাতির দলের মুখোমুখি হয়ে যায় বন্ধুরা। এদিকে হাতি দেখেই গাছে উঠে পড়ে দেবপ্রিয়। নীচে হাতি। আর গাছে ছাত্র। এদিকে অপর দুই বন্ধু ততক্ষণে পগার পার। শেষ পর্যন্ত হাতির সামনে গাছ থেকে পড়ে যায় দেবপ্রিয়। আসলে হাতির দল গাছের ডাল ধরে নাড়াচ্ছিল বলে খবর। তারপরই সে নীচে পড়ে যায়।
এরপর পা দিয়ে দেবপ্রিয়কে পিষে দেয় হাতিটি। এরপর দুই বন্ধু কোনওরকমে প্রাণ হাতে করে গ্রামে ফিরে আসে। সেখানে এসে সে গোটা ঘটনা বাসিন্দাদের বলে। এরপর পুলিশ, বনদফতর এলাকায় যায়।
এদিকে দেবপ্রিয় পরিবারের দাবি, বাড়ির কাউকে জানানো হয়নি যে সে জঙ্গলে এসেছে। কাউকে না বলেই চলে এসেছিল। আর সেখানেই এই করুণ পরিণতি।
এদিকে বনকর্মীরা জঙ্গলে গিয়ে থমকে যায়। কারণ দেহের সামনেই হাতির দল ছিল। সেক্ষেত্রে হাতির সামনে থেকে দেহ উদ্ধার করা যথেষ্ট কষ্টকর। সেকারণে সেখান থেকে দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে বেগ পায় পুলিশ ও বনদফতর। এদিকে বনদফতর সেই হাতির দলের কাছে অপেক্ষা করছিলেন। কারণ হাতির দল না সরলে সেই দেহ উদ্ধার করা যাবে না। তবে এভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কেন তারা জঙ্গলে রিলস বানাতে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।