বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Elephants Attack: হাতির হানায় ব্যাপক নষ্ট জমির ফসল, ঝাড়গ্রামে পথ অবরোধ গ্রামবাসীদের

Elephants Attack: হাতির হানায় ব্যাপক নষ্ট জমির ফসল, ঝাড়গ্রামে পথ অবরোধ গ্রামবাসীদের

হাতির হামলায় প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে ঝাড়গ্রামের রামানন্দপুর এলাকায়।

বন দফতরকে জানানো সত্বেও ঘটনাস্থলে কেউ না আশায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা জানান, ক্ষতিপূরণে লাভের লাভ কিছুই হবে না। তাঁদের দাবি, মাঠের ফসল বাঁচানোর একটাই উপায় এলাকায় হাতি ঢোকা ঠেকানো। গ্রামবাসীরা চান বন দফতর চাষের জমি থেকে হাতি তাড়াতে বিশেষ অভিযানে নামুক।

আবার হাতির হানায় জেরবার গ্রামবাসীরা। এবার হাতির হামলায় প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে ঝাড়গ্রামের রামানন্দপুর এলাকায়। একের পর এক জমির ফসল নষ্ট, বাড়ি ভাঙা নিয়ে বিরক্ত গ্রামের মানুষজন। তাই অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন তাঁরা। এমনও প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা। এখন শীতের মরশুমে হাতির হানায় খেতের ফসল নষ্ট হওয়ার মাথায় হাত কৃষকদের। দেনা করে যারা সবজি লাগিয়েছিলেন তাঁরা ফসল তুলতে পারলেন না। ফলে রুজিতে টান পড়ল। এই কারণেই নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের কিসমত রামানন্দপুর এলাকায় পথ অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনী রগড়ার মূল সড়কে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়।

ঠিক কী বলছেন গ্রামবাসীরা?‌ আজ, রবিবার এই ঘটনার জেরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কিসমত রামানন্দপুর এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। যার ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষজন। স্থানীয় এক কৃষক তুফান পাতর বলেন, ‘‌হাতির দল যেভাবে ফসলের ক্ষতি করেছে। তাতে আমাদের সব শেষ হয়ে গিয়েছে। আগেও হাতির হামলায় ফসল নষ্ট হয়েছিল। কিন্তু আমরা ক্ষতিপূরণ পাইনি। এবার ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। আমাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তাই আজকের এই বিক্ষোভ। বন দফতরের অফিসারদের এসে লিখিতভাবে আমাদের ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। না হলে আমরা আরও বড় আন্দোলনে যাব।’‌

ঠিক কী ঘটেছে ঝাড়গ্রামে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ নয়াগ্রাম থেকে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে প্রায় ৩০টি দাঁতাল হাতি সাঁকরাইল ব্লকের গড়ধরা, পাথরপাড়া, দক্ষিণদাঁড়িয়া, কিসমত রামানন্দপুর–সহ কয়েকটি গ্রামে চাষের জমিতে গিয়ে তোলপাড় করে। যার ফলে শীতকালীন কপি, বেগুন– সহ বিভিন্ন সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি করেছে হাতির দল। এমনকী মাঠে থাকা পাকা ধান চাষেরও প্রচুর ক্ষতি করেছে। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চাষের জমিতে গিয়ে তাণ্ডব চালায় হাতির দলটি।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ বন দফতরকে জানানো সত্বেও ঘটনাস্থলে কেউ না আশায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা জানান, ক্ষতিপূরণে লাভের লাভ কিছুই হবে না। তাঁদের দাবি, মাঠের ফসল বাঁচানোর একটাই উপায় এলাকায় হাতি ঢোকা ঠেকানো। গ্রামবাসীরা চান বন দফতর চাষের জমি থেকে হাতি তাড়াতে বিশেষ অভিযানে নামুক। খবর পেলেও হাতি তাড়াতে কেউই আসেননি। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন সকলে। তুলেছেন ক্ষতিপূরণের দাবি।

বন্ধ করুন