পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের সূত্রেই স্বাস্থ্যকর্মী পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল পাত্রের। কিন্তু, বিয়ের দিন আসতেই উধাও হয়ে গেলেন হবু বর। বিয়ের নাম করে পাত্রীর সঙ্গে ধাপে ধাপে ৬ লক্ষেরও বেশি টাকা নিয়েছেন পাত্র। তাই বিয়ের দিন আচমকাই পাত্র উধাও হয়ে যাওয়ায় প্রতারণার গন্ধ পাচ্ছেন পাত্রীর পরিবার। এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদার ইংরেজবাজারে। এই ঘটনায় পাত্রের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন পাত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যরা।
অভিযোগ, বছর তিনেক আগে বিয়ের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী পুজা সেন। তিনি আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা। সেই বিজ্ঞাপন দেখে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সুমন মজুমদার নামে ওই পাত্র। তিনি নিজেকে রায়গঞ্জের একটি কলেজের প্রফেসর পরিচয় দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে জানিয়েছিলেন তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক। তিনি মালদা শহরের সর্বমঙ্গলা পল্লী এলাকার বাসিন্দা বলেই জানিয়েছিলেন।
ওই মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী অভিযোগ করেন, তাদের বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য খরচের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে সুমন মজুমদার তার কাছ থেকে ধাপে ধাপে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নেন। এমনকি বিয়ের তারিখ ঠিক করা হলেও বারবার পিছিয়ে দেন তিনি। অবশেষে আজ বুধবার তাদের বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু, এদিন সকাল থেকেই মোবাইলে পাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ না হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পাত্রীর পরিবার।
বিয়ের দিন হবু বরের খোঁজে তারা উপস্থিত হন মালদা শহরে। পাত্রের দেওয়া ঠিকানায় খোঁজ করেও তার খোঁজ পাননি পাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। ছবি দেখানোর পরেও ওই এলাকার কেউই পাত্রকে চিনতে পারেননি। শেষে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পাত্রী ও তার পরিবার।