মালগাড়ি নিজস্ব গতিতে ছুটে চলেছে। আর মালগাড়ির সঙ্গে ছুটে চলেছেন এক ব্যক্তি। তবে প্ল্যাটফর্ম দিয়ে নয়। মালগাড়ির তলায় আটকে! শুনতে অবাক লাগলেও বাংলার বুকে এমন ঘটনাই ঘটেছে। ট্রেনের নীচে এই ঘটনা দেখতে পান সোনুকুমার সিং নামে রেলের এক পয়েন্টম্যান। তার পর নিজের জীবন বাজি রেখে অসাধারণ কৌশলে বগির নীচে আটকে থাকা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করলেন তিনি। এই ঘটনা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে মালদায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, এক ব্যক্তিকে মালগাড়ির নীচে আটকে থাকতে দেখা যায়। ওভাবেই ব্যক্তিটি মালগাড়ির সঙ্গে যাচ্ছিলেন। এই ভয়ঙ্কর ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর তার সত্যতা স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে পূর্ব রেল। সবমিলিয়ে হইহই কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। এভাবে একজন মালগাড়ির তলায় আটকে যাচ্ছিলেন—তা কেউ টের পেলেন না? উঠছে প্রশ্ন। বড় দুর্ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারত।
আর কী জানা যাচ্ছে? রেল সূত্রে খবর, এই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। নিজেই মালগাড়ির নীচে উঠে বসেছিলেন। আর সেখানেই আটকে থাকেন। মালগাড়ি চলছে। আর তিনিও একটি বগির নীচে ঝুলে চলছেন। পরে বাঁচার জন্য ছটফট করছিলেন। কিন্তু বেরোতে পারছিলেন না। মালদার মির্জাচৌকি রেল স্টেশনের কাছে এই দৃশ্য দেখতে পান রেলকর্মী সোনু। তিনি একদিকে খবর পাঠান দফতরে। অন্যদিকে লাল পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন মালগাড়ির সামনে। চালক দেখতে পেয়েই ট্রেন থামান। তখন বগির তলায় ঢুকে সোনু টেনে বের করেন ওই ব্যক্তিকে।
রেলের ঠিক কী বক্তব্য? পূর্ব রেল থেকে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। নিজের ইচ্ছায় বগির নীচে ঢুকে বসেছিলেন। আর ওই রেলকর্মী যদি বিষয়টি দেখতে না পেতেন তাহলে ওই ব্যক্তির মৃত্যু নিশ্চিত ছিল। এই ঘটনা নিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়ো গত ৭ ডিসেম্বর তারিখের। আমাদের এক রেলকর্মীর এই সাহসিকতা এবং কর্তব্যবোধ দেখে কর্তৃপক্ষ গর্বিত এবং খুশি।’