শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটল হাওড়ায়। এক বৃদ্ধার নলি কাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। এমনকী খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য সেই দেহ কুয়োতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কী অপরাধ এই বৃদ্ধার? জানা গিয়েছে, সুপারি চুরি করতে দেখে ফেলেছিলেন এই বৃদ্ধা। তাই তাঁর প্রাণ কেড়ে নেওয়া হল। আজ সকালে কুয়ো থেকে উদ্ধার হল তাঁর নলি কাটা দেহ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা ছিলেন গীতারানি সাউ। বাড়ির নানা কাজ করতেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তবু বাড়ির নানা কাজ করতে বাইরে যেতেই হতো। সেরকমই সোমবার দুপুরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে বেরিয়ে ছিলেন। কিন্তু বেলা গড়িয়ে বিকেল নামলেও বাড়ি ফেরেননি গীতারানি। এমনকী সন্ধ্যে পর্যন্ত তাঁর দেখা না মেলায় বৃদ্ধার খোঁজ করতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে কুয়োয় জল আনতে গিয়ে বাড়ির লোকেরা দেখতে পান পড়ে রয়েছে গীতারানির দেহ। তখনই খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের সদস্যদের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছনো হয়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গলার নলি কেটে এই খুন করা হয়েছে বৃদ্ধাকে। আর প্রমাণ লোপাটের জন্যই তা কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়েছে। বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি কয়েকজন যুবক সুপারি চুরি করতে বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। গীতারানি সেটা দেখে ফেলেছিলেন। তাই খুন বলে মনে হচ্ছে।
বৃদ্ধার এই খুনের নেপথ্যে লুকিয়ে অন্য কোনও রহস্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই বৃদ্ধা এলাকায় পরিচিতই ছিলেন। সবার সঙ্গে কথা বলতেন। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। তবে পরিবারের সদস্যদের জানানো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নজর রাখা হচ্ছে সদস্যদের উপরও। কারণ সন্দেহের উর্দ্ধে কেউ নন বলে পুলিশের দাবি।