বেশ কয়েক মাস ধরে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি নিয়ে জেলায় জেলায় প্রত্যন্ত গ্রামে যাচ্ছেন ‘দিদির দূত’রা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই কর্মসূচিতে আরও বেশি করে জোর দিতে বলা হয়েছে। জনসংযোগ গড়ে তোলার পাশাপাশি মানুষজন সমস্ত সরকারি প্রকল্প পেয়েছে কিনা জানতেই এমন উদ্যোগ। আর না পেয়ে থাকলে তাঁকে দ্রুত পাইয়ে দিতে হবে। এই কাজ করতেই সবংয়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া রাস্তায় বেরিয়ে ছিলেন। গ্রামের মানুষের খোঁজ নিচ্ছিলেন। আর তখনই নিজের কাজের উপহার পেলেন তিনি।
ঠিক কী ঘটল সবংয়ে? স্থানীয় সূত্রে খবর, দিদির দূত হিসাবে মানুষের কাছে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন শতায়ু এক বৃদ্ধা। ওই বৃদ্ধাকে দেখে রীতিমতো আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। কারণ ওই বৃদ্ধা মন্ত্রীকে জানালেন, মন্ত্রী ব্যবস্থা করে দেওয়ায় এখন বার্ধক্যভাতা পাচ্ছেন তিনি। তাই কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছেন। এসব শুনে চোখের কোণে জল এসে গেল মন্ত্রীর। আর সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী বৃদ্ধার পা ছুঁয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন। বৃদ্ধাকে বললেন, এটা তো আমার কর্তব্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষকে খুশি দেখতে চান। সেই কাজটাই করে যাচ্ছি তাঁর নির্দেশে।
আর শতায়ু বৃদ্ধা কী বললেন? এদিন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি পালন করতে বেরিয়েছিলেন। সবং ব্লকের বুড়াল গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে বেড়ান তিনি। আর বুড়াল মধ্যপাড়া শিবালয় মন্দিরে পুজো দেন। তারপর এই কর্মসূচি শুরু করেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এলাকায় গিয়ে মানুষের যখন খোঁজখবর নিচ্ছেন তখন শতায়ু এক বৃদ্ধা মন্ত্রীর সামনে পায়ে হেঁটে এসে হাজির হন। আর তারপর মন্ত্রীর থুতনি ধরে আদর করে বৃদ্ধা বলেন, ‘বাবা তোমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। তোমার দেওয়া বার্ধক্যভাতা আমি পাচ্ছি। আমি দিদির রক্ষাকবচেই আছি।’
তারপর ঠিক কী ঘটল? বৃদ্ধার কথা শুনে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি বৃদ্ধাকে জড়িয়ে ধরলেন। তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন। আর আশীর্বাদ নিলেন। বৃদ্ধা মন্ত্রীকে আশীর্বাদ করতেই মন্ত্রীর চোখ জল চলে আসে। আর মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘কোনও অসুবিধা হলে বলবেন। আমরা আপনার সন্তানের মতো। নিশ্চয়ই শুনব। কি দরকার অকপটে জানাবেন। আপনাদের সেবা করতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করব।’ বৃদ্ধার উক্তি, নিশ্চয়ই বলব। পড়ুয়াদেরও চকলেট বিতরণ করেন তিনি। কর্মীদের সঙ্গে পাত পেড়ে মধ্যাহ্নভোজন সারেন মন্ত্রী।