হাওড়ায় ফিরল রবিনসন স্ট্রিটের স্মৃতি। টানা চারদিন ধরে ঘরের মধ্যে বৃদ্ধা তাঁর স্বামী ও বোনের পচাগলা দেহ আগলে বসে রইলেন। দেহগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই, প্রকাশ্যে চলে আসে ঘটনাটি।
শুক্রবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার চ্যাটার্জীহাট থানার ওলাবিবি তলায়। এদিন এলাকার বাসিন্দারা ওই বৃদ্ধার ঘর থেকে দুর্গন্ধ পান। সন্দেহ হওয়ায়, তারাই পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেখে, ঘরের মধ্যেই পড়ে রয়েছে প্রাক্তন পুরকর্মী নীশিথরঞ্জন মণ্ডল ও তাঁর শ্যালিকা অনিতা ঘোষের পচাগলা নিথর দেহ। আর এই দুই মৃতদেহের পাশেই বসে রয়েছেন নীশিথবাবুর স্ত্রী পাপড়ি মণ্ডল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওলাবিবিতলা লেনের বহুতল বাড়ির তিনতলার একটি ঘরে দু’টি মৃতদেহ পড়ে ছিল। মৃতদের মধ্যে এক জন পুরুষ ও একজন মহিলা। মৃত ওই ব্যক্তির নাম নিশীথরঞ্জন মণ্ডল (৭৫) ও তাঁর শ্যালিকা অনিতা ঘোষ (৬০)। আর এই দুই মৃতদেহের পাশেই বসেছিলেন নীশিথবাবুর স্ত্রী। ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। দেহগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে বাড়ির আশেপাশে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন তাঁরা। মণ্ডল দম্পতির একমাত্র সন্তান দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে চিকিৎসার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়। গত কয়েকদিন ধরেই নিশীথবাবুর পরিবারের কাউকে ঘর থেকে বেরোতে দেখননি কেউ। এদিন ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান স্থানীয়রা। তারপরই কৌতুহলবশত খোঁজখবর নিতে এসে বিষয়টি জানতে পারেন তাঁরা। তারপরেই পুলিশে খবর দেন পাড়া-প্রতিবেশীরা।
পুলিশ দেহ ২টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কী কারণে ওই দু’জনের মৃত্যু হল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।