বাড়ির চালের ড্রাম। সেই ড্রামের চালের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ ভরি সোনার গহনা লুকিয়ে রেখেছিলেন বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমার অন্তর্গত হরিওকা গ্রামের বধূ অপর্ণা মণ্ডল। পরিবার সূত্রে খবর ব্যাঙ্কের লকার থেকে সোনা এনেছিলেন তিনি। সেগুলি ফের লকারে ফিরিয়ে দেওয়ার আগে তিনি লুকিয়ে রেখেছিলেন চালের ড্রামে। এমন রেওয়াজ আজও আছে গ্রাম বাংলায়।
চুরি, ডাকাতির হাত থেকে সোনা রক্ষা করার জন্য এখনও এই ধরণের রেওয়াজ রয়েছে বাংলায়। এদিকে সোনা রেখে বাড়ির আর কাউকে জানাননি তিনি। এরপর তিনি খড়্গপুরে ছেলের কাছে বেড়াতে যান । কিছুদিন পরে খড়্গপুর থেকে ফিরে এসে তিনি সোনার খোঁজ করেন। কিন্তু সোনা তো দূরের কথা, চালের ড্রামের ভেতর তো চালই নেই। এরপর একেবারে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। বাড়িতে একেবারে কান্নাকাটি পড়ে যায়।
বধূর স্বামী জানান এক ফেরিওয়ালার কাছে ওই চাল বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বহু খোঁজাখুজির পরে ওই ফেরিওয়ালার খোঁজ মেলে। কিন্তু তিনি আবার বলেন, সেই চাল তিনি এক আড়ৎদারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এদিকে সেই আড়ৎদার বলেন সেই চাল তো বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সাড়ে ৬ ভরি গয়না তবে কোথায় গেল?
অবশেষে বরকত আলি নামে এক আড়ৎদার জানান, গয়না তাঁর কাছেই আছে। উপযুক্ত প্রমাণ দিলে সেই গয়না তিনি ফেরৎ দিতে রাজি। এরপরই একেবারে প্রমাণ দিয়ে হাসিমুখে সেই গয়না ফেরৎ নিয়ে যান বধূ।