মিস্ত্রিকে ১০০ টাকা দিতে দেরি করেছিলেন যুবক। তার জেরে তাঁর মাকে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করলেন ওই মিস্ত্রি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুরের কলেজ মোড় এনএস রোড এলাকার। শুধু তাই নয়, বাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে মমতা চক্রবর্তী নামে ওই মহিলার বাড়িতে হঠাৎই চড়াও হয় মিস্ত্রির দলবল। এরপর শুরু করে বাড়ি ভাঙচুর। ঘরের ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। মমতা দুষ্কৃতীদের আটকাতে গেলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে দুষ্কৃতীর দল। মমতার ছেলে আটকাতে গেলে তাঁকেও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা।
ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে মা মমতা চক্রবতী। এরপরই দুষ্কৃতীরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় মমতা চক্রবর্তীকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শান্তিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মমতা চক্রবর্তী।
মমতার ছেলে তন্ময়ের অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে পাশের পাড়ার একটি ছেলেকে দিয়ে চায়ের দোকানের মিস্ত্রির কাজ করিয়ে ছিলেন। সব টাকা দিয়ে দেওয়ার পরেও মাত্র ১০০ টাকা দিতে বাকি ছিল। সেই টাকার জন্য গত কয়েকদিন ধরে তাঁর দোকানের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন পাশের পাড়ার ওই যুবক। গতকাল রাতে ওই মিস্ত্রি দলবল নিয়ে হঠাৎ বাড়িতে হামলা চালায়। তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। এই ঘটনায় শুক্রবার শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তন্ময় চক্রবর্তী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।