বেসরকারি সংস্থায় কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতে তিনদিনের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে দিঘায় ঘুরতে গিয়েছিলেন বেহালার এক যুবক। কিন্তু, ঘুরে বেড়ানোর সেই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হল না । কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হল সৌম্যদীপ শিকদার (২২) নামে ওই যুবকের। ঘটনার পরে শনিবার দুপুরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এই বছরেই মার্কেটিং অনার্স থেকে স্নাতকোত্তর হন সৌম্যদীপ। তারপরেই একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজে ঢুকে পড়েন। অফিস থেকে তিনদিন ছুটি পাওয়ার পরেই শুক্রবার পরিবারের সকলে মিলে পুরনো দিঘায় বেড়াতে যান। শনিবার সকালে সৈকতে বেড়ানোর পর পরিবারের সকলের সঙ্গে সমুদ্র স্নান করেন সৌম্যদীপ। সমুদ্র স্নান করার পরেই হোটেলে কাঁকড়া খাওয়ার জেদ ধরেন। তাঁর মাসি সুস্মিতা মজুমদার জানান, কাঁকড়া এবং চিংড়ি মাছে সৌম্যদীপের বহুদিন থেকে অ্যালার্জি ছিল। এই কারণে তাঁকে কাঁকড়া খেতে নিষেধ করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু তাঁদের কথা না শুনে অনেকটাই কাঁকড়া খেয়েছিলেন সৌম্যদীপ।
পরিবারের লোকেরা জানান, এরপরেই সৌম্যদীপ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার হাঁপানি শুরু হয়ে যায়। ক্রমেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সৌম্যদীপ এরপরেই অচেতন হয়ে পড়েন। দাঁতে দাঁত লেগে যায়। হোটেল কর্মীরাও তাঁকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকেরা তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। এই ঘটনায় মৃতের দেহর ময়নাতদন্ত করা হয়। তরতাজা এক যুবকের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে।