Nadia: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতারণার ফাঁদ, চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হল টাকা

সোশ্যাল মিডিয়ায় এইমস হাসপাতালে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছিলেন ওই যুবতী। তারপরেই যুবতীর কাছ থেকে দফায় দফায় বেশ কয়েক হাজার টাকা নেয় প্রতারকরা। পরে বুঝতে পেরে শান্তিপুর থানার অভিযোগ জানান যুবতীর বাবা সাধন শিকদার।

শান্তিপুর থানা। নিজস্ব ছবি।

সাইবার অপরাধ নিয়ে নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। তারপরেও কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে এই অপরাধ। নিত্য নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণা করে চলেছে সাইবার প্রতারকরা। এবার বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। সোশ্যাল মিডিয়ায় চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন জানাতে গিয়ে প্রতারণা শিকার হলেন এক যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের কালিপুরে। ইতিমধ্যেই থানায় প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছেন ওই যুবতী। সাইবার প্রতারণার শিকার হওয়া ওই যুবতীর নাম মাম্পি শিকদার।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এইমস হাসপাতালে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছিলেন ওই যুবতী। তারপরেই যুবতীর কাছ থেকে দফায় দফায় বেশ কয়েক হাজার টাকা নেয় প্রতারকরা। পরে বুঝতে পেরে শান্তিপুর থানার অভিযোগ জানান যুবতীর বাবা সাধন শিকদার। তিনি অভিযোগ করেন, বেশ কয়েক দফায় টাকা নেয় ওই প্রতারক। তারপরে আবারও টাকা চেয়ে চাপ দেয়। তাদের সন্দেহ হওয়ায় শেষে শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন। সেখানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সাধন শিকদার জানান, ‘আমার মেয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে এইমস হাসপাতালে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখতে পেয়েছিল। এরপরে যে বিজ্ঞাপনটি দিয়েছিল তার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমার মেয়ে। ওই ব্যক্তি জানায় আবেদনের জন্য ৫৫০ টাকা দিতে হবে। সেইমতো আমার মেয়ে তাকে ৫৫০ টাকা দেয়। এরপর ওই ব্যক্তি আবার জানায় মেডিক্যালের জন্য আরও ৩,৩০০ টাকা লাগবে। সেই টাকাও দিয়ে দেয় আমার মেয়ে। কিন্তু ৩ দিন আগে ফের তারা আরও সাড়ে ৯ হাজার টাকা দাবি করে। তখনই আমাদের সন্দেহ হয়। এরপরে আজ শান্তিপুর থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’ প্রতারিত যুবতীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। সোশ্যাল মাধ্যমে কার সঙ্গে ওই যুবতীর পরিচয় হয়েছিল? তার ঠিকানাই বা কোথায়? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে যুবতীর বাবাকে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।