ভয়াবহ মানসিক অবসাদ। বেঁচে থাকার এতটুকু ইচ্ছা নেই। পরিবার সূত্রে খবর এর আগেও ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ শুক্রবার বিকালে হাওড়া স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মের পাশে পরে থাকতে দেখা যায়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত ছিল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই প্রশ্ন ওঠে কে এই যুবক?
তার পকেট থেকেই উদ্ধার হয় আধার কার্ড। সেই কার্ড দেখেই তার পরিচয় সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কিছুটা নিশ্চিত হতে পারে। তার নাম রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায়। বাড়ি ডোমজুড়। বয়স ৩৩ বছর। পুলিশের দাবি, আসলে সম্ভবত সে আত্মহত্যার পরিকল্পনা নিয়েই বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। কিন্তু দেহ সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য আধার কার্ডটাও সঙ্গে রেখেছিলেন। সেটা দেখেই প্রাথমিকভাবে মৃতের পরিচয় পাওয়া যায়। এরপর তার পরিবারের কাছেও খবর দেওয়া হয়। পরে তার পরিবার এসে দেহটি সনাক্ত করে। বঙ্কিম সেতুতে ওঠার রাস্তা থেকে তিনি রেললাইনে ঝাঁপ দিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জেনেছে।
পরিবার সূত্রে খবর, ওই যুবক গয়নার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথম স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে আগেই চলে যান। দ্বিতীয়বার বিয়ে করলে সেই স্ত্রীও চলে যান। প্রথম পক্ষের দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়েকে নিয়ে তার মা চলে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে মানসিক অবসাদের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক। তবে সমাজকর্মীদের মতে, আত্মহত্যা কোনও সমাধান হতে পারে না। এব্যপারে সকলেরই সচেতন হওয়া দরকার।