বাথরুমে রক্ত দেখেই আঁতকে উঠেছিলেন পরিবারের লোকজনের। এদিকে রান্নাঘরের বঁটিতেও রক্ত লেগেছিল। পরিবারের অন্য়তম সদস্য় নির্মল মুণ্ডাই প্রথমে বাথরুমে রক্ত পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। এনিয়ে তিনি মাকে জিজ্ঞাসা করেন বিষয়টি। এরপর দাদা শ্যামল মুণ্ডাকে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি জানিয়ে দেন পুরুষাঙ্গ কেটে জঙ্গলে ফেলে দিয়েছি। এরপরই শ্যামলকে ভর্তি করা হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে।পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, শ্য়ামল মুণ্ডা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন।। এদিন বাথরুমে গিয়ে তিনি বঁটি দিয়ে নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন। এরপরই বাথরুমে রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর ভাই। পরিবারের দাবি, মাস ছয়েক ধরেই তিনি নানা রকম সমস্যায় ভুগছিলেন। তার চিকিৎসাও চলছিল। তার মধ্যেই এই কাণ্ড। কিন্তু কেন তিনি নিজেই নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেললেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পরিবারের দাবি, অসুস্থতার জন্যই হয়তো সে এই কাজ করে ফেলেছে। রান্নাঘরের বঁটিতেও রক্ত লেগেছিল। কখন সে বঁটি নিয়ে বাথরুমে গিয়েছিল তা কেউ জানত না। পরে বাথরুমে রক্ত পড়ে থাকতে দেখে ভাইয়ের এনিয়ে সন্দেহ হয়। এরপরই শ্যামল মুণ্ডাকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।