সকাল সকাল উঠে বিছানা তুলছিলেন কালীচরণ রায়। বাড়ি জলপাইগুড়ি। হঠাৎ করেই দেখেন কিছু একটা নড়ছে বিছানার উপর। এরপরই তিনি দেখতে পান বিছানার উপর একটি সাপ রয়েছে। তিনি দ্রুত সাপটিকে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাপ ততক্ষণে বিছানা থেকে নেমে পড়েছে। এদিকে কালীচরণও সাপ ধরতে একেবারে মরিয়া। একটা লাঠি নিয়ে এসে সাপ ধরার চেষ্টা করেন কালীচরণ। আর তখনই বিপত্তি। কালীচরণের হাতে সাপটি কামড়ে দেয়। এদিকে সাপ তো ততক্ষণে পালাচ্ছে। দ্রুত সাপটিকে বস্তাবন্দি করে ফেলেন কালীচরণের পরিবারের লোকজন। সেই বস্তাবন্দি সাপকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসেন যুবক।
মূলত সাপ দেখে যাতে চিকিৎসা করতে চিকিৎসকের সুবিধা হয় সেকারনেই এভাবে সাপটিকেও হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন কালীচরণ। এদিকে ঘটনার পর জলপাইগুড়ির পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীকেও খবর দেওয়া হয়। তাঁর দাবি, সাপটি ট্রিংকেট প্রজাতির। এটি সাধারণত বিষহীন সাপ বলেই পরিচিত। বাংলায় এটি পঙ্খিরাজ সাপ হিসাবেই পরিচিত।
তবে এদিন তিনি সাপ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে বাসিন্দাদের সচেতনও করেন। তিনি বলেন, সাপ কামড়ালে অযথা সময় নষ্ট করবেন না। সাপ ধরতে গেলে সময় নষ্ট হতে পারে। তাছাড়া সাপ দেখে রোগীর চিকিৎসা হয় না। সাপ ধরতে গিয়ে কামড়েও দিতে পারে। এতে বিপদ আরও বাড়তে পারে। এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীচরণের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।