বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। আসল নাম নগেন রায়। কিন্তু অনুগামীদের কাছে তিনি অনন্ত মহারাজ বলেই পরিচিত। আদপে তিনি গ্রেটার কোচবিহরার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা। তবে এখন সেই গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজই রাজ্যসভার সাংসদ। মূলত বিজেপিই তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল। কিন্তু তিনি এখন কতটা বিজেপি ঘনিষ্ঠ তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তবে সেই গ্রেটার নেতার রাজ্যসভার তহবিলের খরচ কতটা হয়েছে তা জানলে অবাক হবেন আপনিও।সূত্রের খবর, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে তাঁর জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ প্রায় ৭ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই টাকায় কী করবেন সেটা এখনও ঠিক করতে পারেননি তিনি। সেক্ষেত্রে কার্যত বিপুল সরকারি টাকা খরচই করতে পারেননি তিনি।
নিয়ম যেটা রয়েছে সেটা হল একজন সাংসদ পাঁচ কোটি টাকা এলাকা উন্নয়নের জন্য পান। একটি আর্থিক বছরের জন্য় এই টাকা পান সাংসদরা। এরপর নির্দিষ্ট আর্থিক বছরের মধ্য়ে সেই টাকা খরচ হওয়ার পরে ফের তাঁরা এলাকার উন্নয়নের জন্য অর্থ পান। এদিকে ২০২৪-২৫ আর্থিক বছর শেষ হতে আর বেশি মাস বাকি নেই। সেক্ষেত্রে অনন্ত মহারাজ শেষ পর্যন্ত সরকারি টাকায় কতটা কাজ করে উঠতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
বিজেপির সহায়তায় রাজ্যসভায় গিয়েছেন অনন্ত। কিন্তু নানা সময়ে সেই বিজেপিকেই অস্বস্তিতে ফেলেছেন তিনি। এমনকী তাঁর অবস্থান নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশাতে থাকেন বিজেপি-তৃণমূল উভয় পক্ষই। নানা সময় তিনি পৃথক রাজ্যের ধুয়ো তুলে এলাকায় নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সবরকম চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে উন্নয়নের জন্য এত বিপুল টাকা কেন তিনি খরচ করতে পারলেন না?
এদিকে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলে তিনি নানা সময় অস্বস্তিতে ফেলেছেন গেরুয়া শিবিরকেও।
সম্প্রতি রাজ্যসভার সাংসদ তথা গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজ বলেন, 'উত্তরবঙ্গ তো বাংলা নয়। ভাষা, কালচার সব আলাদা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অফিস থেকে বলে দিয়েছে গৃহ মন্ত্রণালয়কে রাজ্যটা বানিয়ে দেওয়ার জন্য। এটা তো গভর্নমেন্টকে বলছি। দেরি কেন করছেন!'
তবে অভিজ্ঞ মহলের মতে, এই প্রথমবার অনন্ত রায় এমন কথা বললেন তা কিন্তু নয়। ইউপিএ সরকারের আমলেও দিল্লি থেকে ফিরে গিয়ে গ্রেটার নেতারা ঠিক একই কথা বলতেন যে, রাজ্য তৈরির ব্যাপারে মৌখিক আশ্বাস মিলেছে।
তবে এবার একেবারে রাজ্য তৈরির ব্যাপারে মোদীর দফতরের নির্দেশের কথা উল্লেখ করলেন তিনি। এই কথা শুনে অনেকেই ভিড়মি খাওয়ার অবস্থা।