দার্জিলিং পাহাড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একেবারে ঠাসা কর্মসূচি। সরস মেলার উদ্বোধন, জিটিএর মিটিং সহ নানা কর্মসূচি। তবে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এবারের সফরে পাহাড়ে রাজনীতির হাওয়াটাও পরখ করে নিলেন তৃণমূল নেত্রী।
আর প্রত্যাশামতোই এবার আর বিমল গুরুং নন, মমতার গুডবুকে এখন অনীত থাপা। ইতিমধ্য়েই দার্জিলিং পাহাড়ে বিভিন্ন বোর্ডের দেখভাল ও নজরদারির জন্য তিনি অনীত থাপাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন। অর্থাৎ পাহাড়ে একটা মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে মমতা বেছে নিয়েছেন অনীত থাপা। কার্যত পাহাড়ে এখন তৃণমূলের একমাত্র ভরসা যে অনীত থাপা সেটাই কার্যত বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বার বার ভোট হয়েছে পাহাড়ে। আর বার বারই পাহাড়ে হোঁচট খেয়েছে তৃণমূল। কখনও তৃণমূলের ভরসা হয়েছেন বিমল গুরুং। এখন আবার অনীত থাপা।কিন্তু ভোট মিটতেই দেখা গিয়েছে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। এবারের লোকসভা ভোটের আগেও দেখা গিয়েছিল পাহাড়ে তৃণমূলের কোনও পতাকা নেই। এমনকী দার্জিলিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বড় কোনও হোর্ডিংও নেই। সবটাই সেখানে অনীতময়।আর এবারও পাহাড়ে গিয়ে সেই অনীতকেই গুরুত্ব দিলেন মমতা।
মমতা বুধবার দার্জিলিংয়ে বলেন, ৫ বছর পরে কেউ কেউ আসে নেতা হতে, আর অশান্তি করে চলে যায়। দোকান বন্ধ হয়, হোটেল বন্ধ হয়ে যায়। পর্যটকরা আসেন না। পাহাড়ে লোকে ঘুরতে আসতে চায় না। আমি চাই পাহাড়ে শান্তি আসুক। উন্নতি চাই। বললেন মমতা।
মমতা বলেন, আমরা চাই দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে অনীত থাপা এগিয়ে যাক। আমাদের তৃণমূলের সঙ্গে ওর অ্যাডজাস্টমেন্ট আছে। আর থাকবেও। ৫ বছর পর কেউ কেউ আসে নেতা হতে, আর অশান্তি করে চলে যায়। …
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাহাড়ে তৃণমূল যে নিজের শক্তি দিয়ে বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারবে না এটা হাড়ে হাড়ে জানে তৃণমূল। সেকারণেই তৃণমূলের ভরসা এবার অনীত। গত কয়েক বছর ধরেই পাহাড়ের রাজনীতিতে অনেকটাই প্রাসঙ্গিত হয়ে উঠছেন অনীত থাপা। সেই সঙ্গেই শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে দার্জিলিংয়ের উন্নতি, জিটিএর কাজকর্ম পরিচালনা করাটা যে সহজতর সেটা বিলক্ষণ জানেন ঠান্ডা মাথার অনীত। কার্যত অনীত আর তৃণমূল একে অপরের পরিপূরক। সেই সমীকরণটা এবার একেবারে খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন মমতা। বিমল গুরুং এখন অতীত। এবার পাহাড়ে তৃণমূলের বন্ধু অনীত।