রামকৃষ্ণ মিশনের আওতায় থাকা শিলিগুড়ির সেবক হাউজে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত অপর একজনকে গ্রেফতার করল ভক্তিনগর থানার পুলিশ। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধীনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। মঙ্গলবার তাকে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়।
এর আগে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরার করার পরে ২জনকে গ্রেফতার করা হয়। এবার গান্ধীনগর এলাকা থেকে অপর একজনকে গ্রেফতার করা হল। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের ভক্তিনগর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সব মিলিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের ঘটনায় ৮জনকে গ্রেফতার করা হল। তবে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় এখনও পলাতক। সে কোথায় গেল? এই প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এসওজি সহ একাধিক এজেন্সি সেই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
গত ১৯ মে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের সেক্রেটারি মহারাজ স্বামী শিবপ্রেমানন্দ থানায় যে অভিযোগ করেছিলেন সেখানে তিনি বিস্তারিকতভবে জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছিলেন, দুষ্কৃতীদের হাতে রড, কাটারি, বন্দুক ছিল। আশ্রমের দুই নিরাপত্তারক্ষীকে তারা বন্দি করে।এরপর দোতলায় উঠে ৫জন কর্মীকে আটক করে। পরে ওই সাতজনকে এনজেপি স্টেশন সহ অন্যত্র ছেড়ে দেয়। কিন্তু কেন তারা সেবক হাউজে এভাবে ঢুকল রাতের অন্ধকারে?
মহারাজ জানিয়েছিলেন, সেবক হাউজ বলে একটা সম্পত্তি আছে। সুনীল কুমার রায় রেজিস্টার্ড ট্রাস্ট ডিডের মাধ্যমে এটা আমাদের দিয়েছিলেন। আইনগতভাবে আমরা অধিকার নিয়েছিলাম। আমরা নানা সময় নানা সেবামূলক কাজ করি। হঠাৎ ১৮ই মে রাত সাড়ে তিনটের সময় অনেক লোক এল। ওদের হাতে কাটারি, বন্দুক, রড ছিল। হেলমেট পরে ছিল। গ্লাস দিয়ে মুখ ঢাকা ছিল। বাংলায় কথা বলছিল। পাঁচিল টপকে ওরা ঢোকে। দুজন নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে একজন গানম্যান ছিল। ওদের হাত বেঁধে দেয়। সিম নিয়ে মোবাইল ফেরত দেয়। আমাদের সম্পত্তি হল ১৯৭ কাটা। দোতলায় গিয়ে স্টাফদের উপর হামলা করে, হাত বেঁধে দেয়। সবাইকে ওরা ম্যাজিক গাড়িতে নিয়ে গিয়ে এনজেপির কাছে ছে়ডে দেয় ৫জনকে। বাকি দুজনকে অন্যত্র ছেড়ে দেয়। ভক্তিনগর থানায় এফআইআর করি। ৩০-৩৫জন এসেছিল। ওপরে ১০-১৫জন ছিল।
এরপরই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তবে মূল অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।