পণের চাহিদা মেটাতে না পায়ার বিয়ের ৪ বছর পর বধূহত্যার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনা বারুইপুরের সীতাকুণ্ডের। নিহত সরফা খাতুনের ৩ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। মেয়ের হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করেছেন বাবা। পলাতক অভিযুক্তরা।
বছর চারেক আগে বারুইপুরের সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা পেশায় ফল ব্যবসায়ী সরিফুল সরদারের সঙ্গে বিয়ে হয় মগরাহাটের বাসিন্দা সরফা খাতুনের। তাদের তিন বছরের একটি পুত্রসন্তানও আছে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেব মোটর সাইকেল, সোনার গয়না ও নগদ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে মৃতের পরিবার। বিয়ের তিন-চার মাসের মাথায় ফের টাকা দাবি করা হয়। টাকা না পেলেই তরুণীকে মারধর করা হত বলে অভিযোগ।
মৃতার বাবা জানিয়েছেন, অগাষ্ট মাসে ২৫ হাজার টাকা চেয়ে পাঠায় জামাই। তার ১৫ হাজার টাকা দেয় সরফার বাড়ির লোকজন। বাকি টাকা না দেওযায় ব্যাপক মারধর করা হয় সরিফাকে। বৃহস্পতিবার অসুস্থ ওই তরুণী ভিডিও কল করে তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। এক কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর স্বামী ফোন করে জানায়, বিছানায় শুয়ে আছে সরফা। কোনও কথা বলছে না সে। মৃতের পরিজনরা তাঁর শ্বশুবাড়ি গিয়ে দেখেন মৃত্যু হয়েছে তরুণীর।
খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে বারুপুর থানার পুলিশ। মৃতের বাবার অভিযোগ, মেয়েকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক মৃতের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।