সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি ঘটল মৎস্যজীবীর। ফের বাঘের হামলায় এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হল। এ নিয়ে চলতি মাসেই বাঘের হামলায় প্রাণ গেল দুজন মৎস্যজীবীর। আজ সকালে বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছে বিষ্ণুপদ মিস্ত্রী (৪৫) নামে ওই মৎস্যজীবীর। কোনওভাবে বাঘের কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করা গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের ঝিলার জঙ্গলে। গোসাবার সাতজেলিয়া আনন্দপুরের বাসিন্দা এই ব্যক্তি তিন মৎস্যজীবী সঙ্গীর সঙ্গে গিয়েছিলেন সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ, কাঁকড়া ধরতে। এদিন সকালে কাঁকড়া ধরার সময় তিনি জঙ্গলের একটু গভীরে চলে গিয়েছিলেন। ওৎ পেতে লুকিয়ে ছিল বাঘ। বিষ্ণুপদ অসতর্ক হতেই তার উপর হামলা চালায় বাঘ। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তার সঙ্গীরা তাকে উদ্ধারের জন্য ছুটে আসেন। কোনওভাবে তারা বাঘের সঙ্গে লড়াই করে বিষ্ণুপদকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। বাঘের হামলায় মাথায় গুরুতর চোট পান ওই মৎস্যজীবী। তার মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন একইভাবে বাঘের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন কালীপদ সর্দার (৬০) নামে এক মৎস্যজীবী। তিনি সুন্দরবন উপকূল থানার ছোট মোল্লাখালির বাসিন্দা। সুন্দরবনের নদী ও খাঁড়িতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেখানে মাছ ধরার ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল। তারপরেও বেশ কয়েক জন মৎস্যজীবী বেআইনি ভাবে সুন্দরবনের জঙ্গলের কাছাকাছি মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কালীপদও। তারপরেই বাঘের আচমকা হামলায় মৃত্যু হয় ওই মৎস্যজীবীর।