কোচবিহারের বাণেশ্বরের শিবদিঘিতে আবারও কচ্ছপের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। সেখানে একটি কচ্ছপকে মৃত অবস্থায় ভেসে থাকতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, অভিযোগ কাউকে কিছু না জানিয়ে জেলা প্রশাসন মৃত কচ্ছপটিকে জল থেকে তুলে কোচবিহারে নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। বাণেশ্বরের শিবদিঘি-সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় মাঝেমধ্যেই এভাবে কচ্ছপের মৃত্যু হচ্ছে। তারপরেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের বক্তব্য, সোমবার এই কচ্ছপটিকে ময়নাতদন্তের জন্য কোচবিহারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার। তারপরে ক্ষোভ ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, কচ্ছপের মৃত্যু রুখতে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। প্রসঙ্গত, স্থানীয়দের কাছে এই সমস্ত কচ্ছপগুলি পূজ্য। কোনটার বয়স ৮০ বছর, কোনওটার ১০০ বা তারও বেশি। কোচবিহারের বাণেশ্বরের শিবদিঘির এই কচ্ছপগুলি মোহন নামে পরিচিত। শুধু কচ্ছপের বয়স হিসেবেই নয়, পবিত্রতার দিক দিয়েও এগুলির গুরুত্ব রয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই কচ্ছপগুলিকে নিয়ে কাজ করে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল কচ্ছপের মৃত্যু রুখতে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষ টিম পাঠানো হবে। কিন্তু সেই টিম সেখানে এসে কচ্ছপের নমুনা সংগ্রহ করলেও এখনও রিপোর্ট এসে পৌঁছয়নি।
এই ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি। বাণেশ্বর মোহন রক্ষা কমিটি নামে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অভিযোগ, কচ্ছপের মৃত্যু ঢাকতে চাইছে প্রশাসন। উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির অভিযোগ, বাণেশ্বর মন্দির থেকে যে নিয়মিত খাবার দেওয়া হয়, সেই সমস্ত ভাত কিংবা মুড়ি ছড়িয়ে দেওয়া হয় দিঘির জলে। কচ্ছপগুলির খাবার পরও উদ্বৃত্ত সেই খাবারগুলি পরিষ্কার করা হয় না। ফলে জলের মধ্যে থাকা বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড এবং কেমিক্যাল অক্সিজেনের ডিমান্ড কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। তার ফলেই কচ্ছপের মৃত্যু হচ্ছে।