সম্প্রতি নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের পরেই তদন্তে নেমেছেন রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই তাপসের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতিদমন শাখা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য প্রতারিতদের ডেকে পাঠাচ্ছে দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। নব মহাকরণে তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন থানায় এবং দুর্নীতি দমন শাখার কাছে তাপসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
গত ৫ মে নব মহাকরণে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল তেহট্টের শ্যামনগরের বাসিন্দা তথা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ইউসুফ বিশ্বাসকে। তাঁর দাবি, তিনি তাপসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন শাখার কাছে অভিযোগ করার পাশাপাশি তেহট্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। প্রাক্তন সেনা কর্মী ইউসুফের অভিযোগ, তার ছেলে আজিজের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বিধায়ক। কিন্তু, চাকরি দেওয়া হয়নি, টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। তাই তিনি টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ইউসুফের দাবি, তার ছেলে আজিজ পড়াশোনায় মেধাবী। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি তাই হয়ে থাকে তারপরও তিনি কেন চাকরির জন্য টাকা দিলেন? তাছাড়া তিনি এতদিন পর কেন অভিযোগ দায়ের করলেন? কোথা থেকে এই সমস্ত টাকা পেয়েছিলেন? এই সমস্ত কিছু ইউসুফ এবং আজিজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চেয়েছেন দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা।
ইউসুফ বিশ্বাসের অভিযোগ, তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছিলেন বিধায়ক। এখন চাকরি না পাওয়ায় টাকা উদ্ধারের জন্য তিনি ছোটাছুটি করছেন। আজিজের দাবি, বিধায়ক যে দুর্নীতিগ্রস্ত তা স্বীকার করে নিয়েছেন আধিকারিকরা। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাপসের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।