লটারিতে ১ কোটি টাকা জয় নিয়ে ক্রমেই চাপ বাড়ছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির ওপর। লটারির টিকিট নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হতেই সরাসরি অনুব্রতর কাছেই পৌঁছে গেলেন সিবিআই তদন্তকারীরা। শনিবার বেলা নাগাদ আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, লটারি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সেখানে যান তদন্তকারী অফিসাররা।
জানা গিয়েছে, ৫৪০৪৫ নম্বর যে টিকিটে অনুব্রত এক কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত। সেই টিকিট কেনা হয়েছিল বীরভূমের নাহিনা গ্রাম থেকে। বোলপুর থেকে সেই গ্রামটি অবস্থিত ১৫ কিমি দূরে। বোলপুরে টিকিট না কেটে কেন নহিনা থেকে কেনা হয়েছিল, তা নিয়ে আজ প্রশ্ন করা হতে পারে অনুব্রতকে। এই আবেহ আজ সুশান্ত ভট্টাচার্য সহ সিবিআইয়ের চার প্রতিনিধি দল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে ঢোকেন। লটারি জয়েরপ প্রায় ১০ মাস পর এই নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে সিবিআই।
এর আগে গতকাল বোলপুরের লটারি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। লটারির টিকিট বিক্রেতা মুন্না শেখ গতকাল বিকেলে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন। সেখানে প্রায় একঘণ্টা ছিলেন তিনি। সিবিআই ক্যাম্প থেকে মুন্না বেরিয়ে এলে তাঁকে অনুব্রতর লটারি জয় নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর তখনই বিস্ফোরক দাবি করেন লটারি বিক্রেতা। উল্লেখ্য, ‘রাহুল লটারি এজেন্সি’ থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন এক টিকিট বিক্রেতা। সেই বিক্রেতার থেকে লটারি কেনেন মুন্না। তাঁর বিক্রি করা একটি টিকিটেই এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ক্রেতা। বিজ্ঞাপনে নাম ওঠে অনুব্রতর। এই আবহে অনুব্রত নিজে লটারি কিনেছিলেন কি না, নাকি পুরোটাই কালো টাকা সাদা করার কারবার, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এর আগে ‘রাহুল লটারি এজেন্সি’র মালিক শেখ আইনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। এজেন্সিতে হানাও দিয়ে তল্লাশিও চালায় সিবিআই। এরপর মুন্নাকেও গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর আজ সরাসরি অনুব্রতর কাছেই পৌঁছে গেলেন তদন্তকারীরা।