বীরভূমে ভোট প্রচারে এসে তাঁর ‘প্রিয় কেষ্টর’ কথা বারবার স্মরণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের সময় যাঁর কথায় ‘বাঘে-গরুতে’ একঘাটে জল খেত, সেই অনুব্রত এখন তিহার জেলে। তাঁর অনুপস্থিতি সত্ত্বেও বীরভূম দখলে রাখল তৃণমূল। বিপুল ভোট জিতলেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় ও অসিত মাল।
জিতে এই নিয়ে চারবার সংসদে যাচ্ছেন শতাব্দী রায়। একটা সময় যে ভাবে দাপিয়ে ভোট করতেন অনুব্রত মণ্ডল, তিনি এবার না থাকায় তা হবে কি না তা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। তাছাড়া কেষ্টর অনুপস্থিতিতে বাড়ে গোষ্ঠীকোন্দলও। তবে সেই সংশয় কেটে গেল ভোটের ফল প্রকাশের পর। বিপুল ভোটে জিতলেন দুই প্রার্থী।
বীরভূমে প্রচারে এসে ‘কেষ্ট’ প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। তাঁকে দক্ষ সংগঠকেরও তকমা দেন মমতা। দলনেত্রী বলেন, 'প্রতিবার ভোটের দিন কেষ্টকে ঘরবন্দি করত। তাতে কি ভোট আটকাতো। বীরভূমের মানুষ ভোট দিতেন।’ তবে এবার তিহারে বন্দি থাকা সত্বেও ভোট আটকায়নি। দলনেত্রী তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটি ভোট পরিচালনা করেছে। শুধু তাই নয় শতাব্দী রায়ের দেওয়াল লিখনে এসেছে অনুব্রত প্রসঙ্গ। লেখা হয়েছে ‘তিহারে বসেই খেলা’ হবে।
আরও পড়ুন। ‘তমলুক–কাঁথিতে কারচুপি হয়েছে’, বিপুল জয়ের পরও পুনর্গণনার দাবি তুললেন মমতা
বীরভূম থেকে জিতলেও একটা সময় শতাব্দী-অনুব্রত দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে আসে। সে দিক থেকে দেখলে, অনুব্রত তিহারে থাকায় এই দ্বন্দ্ব প্রশমনই হয়েছে। তাছাড়া কোর কমিটি দায়িত্ব থাকলে খোদ তৃণমূল নেত্রী নজর রখেছেন বীরভূমের উপর। তা ছাড়া দলনেত্রীর নির্দেশে ফিরহাদ হাকিমও জেলায় দলের কাজ কর্মের উপর নজর। স্থানীয় তৃণমূল সূত্রের দাবি, এবার ভোট হয়েছে ‘কেষ্টদার’ ফর্মুলা মেনে। ফলে সব মিলিয়ে বীরভূমে দুই প্রার্থীরই জয় ধরে রাখতে পেরেছে তৃণমূল।