একইসঙ্গে দুই জায়গায় কাজ করেন সুকন্যা মণ্ডল। একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের। অপর একটি চালকলে কাজ করেন। এমনই অভিযোগ উঠল সুকন্যার বিরুদ্ধে।
একাংশের দাবি, সুকন্যার নামে একটি ফেসবুক প্রোফাইল (সেটা অনুব্রত কন্যার প্রোফাইল কিনা, সেই সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস) আছে। ওই ফেসবুক প্রোফাইলে ভেরিফায়েডের নীল টিক নেই। ওই প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে দুটি চাকরি পান 'সুকন্যা'। সেই বছর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে যোগ দেন। তার আগেই অপর একটি চালকলে (তবে সেটি ব্যক্তিগত চালকল নাকি অন্য কারও চালকল, তা স্পষ্ট নয়) যোগ দেন বলে ওই প্রোফাইলে দাবি করা হয়েছে। তা থেকেই ওই মহলের দাবি, অনুব্রতের কন্যা একইসঙ্গে দুটি চাকরি করেন।
সেই বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শুরুর আগেই অভিযোগ ওঠে, প্রাথমিকের টেটে পাশ না করেই সরকারি স্কুলে চাকরি করেছেন অনুব্রতের মেয়ে। শুধু তাই নয়, মামলাকারীর অভিযোগ, বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত সুকন্যা কার্যত স্কুলে যেতেন না। হাজিরার খাতা তাঁর বাড়িতে চলে আসত। সেইসঙ্গে মামলাকারীর অভিযোগ, স্কুলের হাজিরার অনুব্রতের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হত। সেখান থেকেই সুকন্যার হাজিরা নিয়ে আসতেন এক ব্যক্তি। অনুব্রতের আরও পাঁচ ঘনিষ্ঠ বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: টেট না দিয়েই চাকরি? কলকাতায় আসছেন অনুব্রত কন্যা, কালই হাজিরা?
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর তিনটের মধ্যে সুকন্যা-সহ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ছয়জনকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। তাঁরা যাতে নির্দিষ্ট সময়মতো হাজিরা দেন, তা বীরভূমের পুলিশ সুপারকে নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কড়া পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: অনুব্রত কন্যাকে কলকাতা হাইকোর্টে তলব বিচারপতির, অভিযোগ বেআইনি নিয়োগ
হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার দিকে গাড়িতে রওনা দেন অনুব্রত কন্যা। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সুকন্যা। যিনি বুধবার সকালে সিবিআইয়ের সামনেও বেশি কথা বলতে চাননি বলে সূত্রের খবর। আজ তাঁর বোলপুরের বাড়িতে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা গিয়েছিলেন। তখন আধিকারিকরা জানান, সম্প্রতি মা মারা গিয়েছেন। বাবা এখন জেলে। এই অবস্থায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই তিনি এখন কথা বলতে পারবেন না।