একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ভোটের পর দলের নেতাকর্মীদের অসন্তোষ তীব্র হয়েছে। তারপর রাজ্য কমিটি এবং বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক সভাপতিদের রদবদলের পর বিজেপির অন্দরের অসন্তোষ চরমে পৌঁছেছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান একের পর এক বিজেপির নেতা-বিধায়করা। তাতেই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। বিজেপির এই ভরাডুবি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বীরভূমের দোর্দণ্ড প্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বিজেপিকে তিনি 'ল্যাংড়ার দল' বলে কটাক্ষ করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির নেতা কর্মীদের অসন্তোষ নিঃসন্দেহে বিরোধী শিবিরকে অক্সিজেন যোগাচ্ছে। এর আগেও বিজেপিকে বহুবার আক্রমণ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে 'ল্যাংড়ার দল' বলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেছেন, 'বিজেপি হল ল্যাংড়ার দল। কেউ হাঁটতে জানে না। ওদের দলে কে থাকবে? লোকজনই নেই। ওরা একটা ভেড়ার দল।'
অন্যদিকে, বিজেপির নেতা বিধায়কদের বিদ্রোহ নিয়ে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকেউ। তিনি বলেছিলেন, 'বিজেপিকে মানুষ আর চাইছে না। এখন মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। একদিন বিজেপি তুবড়ির মত ফেটে শেষ হয়ে যাবে। বিজেপির পতন অনিবার্য।'
প্রসঙ্গত, রাজ্য কমিটিতে রদবদলের পর প্রথমেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। সেই বিদ্রোহের আঁচ পড়ে জেলাস্তরেও। জেলার সাংগঠনিক সভাপতি এবং ইনচার্জের রদবদলের পর নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং বাঁকুড়া জেলার ৯ জন বিজেপি বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান। তারপরেই দলের অন্দরের বিদ্রোহ মেটাতে তৎপর হয়ে ওঠে বিজেপির রাজ্য এবং শীর্ষ নেতৃত্ব। গতকাল রবিবার দলের বিদ্রোহী নেতা বিধায়কদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিক্ষুব্ধ নেতাদের বুঝিয়ে তাদের অসন্তোষ মেটানো সম্ভব হয়েছে। পুনরায় তারা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দেবেন।