গরুপাচার কাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। সুতরাং এখনও তিনি জেলেই আছেন। এমনকী তদন্তে অগ্রগতির কথা জানিয়ে আদালতে একটি সিডি পেশ করেছে সিবিআই। যা দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন বিচারক। এই পরিস্থিতি এবার গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বোলপুরের তিন ব্যবসায়ীকে তলব করল সিবিআই। তাঁদেরকে দেখানো হবে নানা ছবি এবং সামনে রাখা হবে বেশকিছু তথ্য। আর তা দেখিয়ে জানতে চাওয়া হবে তাঁদের প্রতিক্রিয়া বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, আগামীকাল সোমবার তাঁদের নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, অনুব্রত কালো টাকা সাদা করার জন্য ভুয়ো কোম্পানি খুলেছিলেন। সেই কোম্পানির ডিরেক্টর পদে বসিয়েছিলেন তাঁরই ঘনিষ্ঠদের। এই গোটা বিষয়টি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা জানতেন বলে মনে করছে সিবিআই। বেশকিছু নথি হাতে এসে পৌঁছেছে তদন্তকারীদের। তার ভিত্তিতেই এই তিন ব্যবসায়ীকে তলব করা হয়েছে।
সিবিআই কী তথ্য পেয়েছে? সিবিআই সূত্রে খবর, এসব ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হতো। এমনকী এই ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টররাও ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন। বোলপুর–সহ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় কিনেছিলেন একাধিক ফ্ল্যাট, জমি। গরুপাচার কাণ্ডে এবার সেই ব্যবসায়ীরাই সিবিআইয়ের নজরদারির আওতায়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই গরুপাচারের মূলে যেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তার পর সেই রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় গত ১১ অগস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর তদন্তে কোটি কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জেরা করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকেও। একাধিক চালকলের তথ্য সামনে এসেছে। লটারির টিকিটের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার তথ্য সামনে এসেছে। এমনকী ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রাখার নথিও পেয়েছেন তদন্তকারীরা।