গরুপাচার কাণ্ড মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। প্রথমবার তিনি সেই ডাকে সাড়া না দিলেও দ্বিতীয়বারে সাড়া দেবেন বলে সূত্রের খবর। আগামী ২ নভেম্বর সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করেছে ইডি। সূত্রের খবর, ইডির এই তলবে নয়াদিল্লিতে হাজিরা দেবেন সুকন্যা মণ্ডল। গত বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত কারণে দেখিয়ে ইডি’র হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। গরু পাচার কাণ্ডে সেদিন প্রথমবার অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয়াদিল্লি তলব করা হয়েছিল।
দ্বিতীয়বারে কী সাড়া দেবেন? সূত্রের খবর, তবে দ্বিতীয়বার হাজিরায় সম্মতি রয়েছে তাঁর। ২ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। গত ২৮ অক্টোবর তাঁকে প্রথমবার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন তিনি হাজিরা দেননি। সুকন্যা মণ্ডল জানিয়েছিলেন, তিনি রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। তাই হাজিরা দিতে পারবেন না। তারপরেই তাঁকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। কারণ দ্বিতীয়বার নয়াদিল্লিতে তাঁকে তলব করে ইডি। সেই তলবে তিনি হাজিরা দেবেন বলে জানিয়েছেন।
আর কী জানা গিয়েছে? গরুপাচার মামলার তদন্ত শুরু করতেই বিপুল সম্পত্তির হদিশ পান তদন্তকারীরা। অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ের অ্যাকাউন্টে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পান সিবিআই অফিসাররা। উঠে আসে ভোলেব্যোম রাইস মিল চালকলের নাম। তারপর তদন্তকারীদের সামনে উঠে আসে এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেড এবং নীড় ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুই সংস্থার নাম। এই দুই সংস্থার ডিরেক্টর পদে আছেন সুকন্যা মণ্ডল। সিবিআই চার্জশিটেও এই সংস্থাগুলির নাম রয়েছে।
কেন সুকন্যাকে তলব করা হল? ইডি সূত্রে খবর, সুকন্যা মণ্ডল পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। তাঁর সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা টাকা ২০১৫ সালের পরে অনেকটা বেড়েছে। যা স্বাভাবিক নয়। বোলপুরের ‘ভোলেবোম’ চালকলের যৌথ মালিকানায় তাঁর নামে আছে। আবার দু’টি সংস্থার তিনি ডিরেক্টর। ব্যাঙ্কে কোটি টাকার বেশি ফিক্সড ডিপোজিট আছে। এই সম্পত্তির উৎস কী? জানতে চেয়ে সুকন্যার সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সুকন্যাকে তলব করে তারা। আবার সিবিআই চার্জশিট সূত্রে খবর, ২০১৩–১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। সেখানে ২০২০–২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। তাঁর নামে ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে।